রাজশাহীতে দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা
রাজশাহীতে রোববার সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে ৬ দশমিক ২, বদলগাছি ও সৈয়দপুরে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, ডিমলা, যশোর ও শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ছিল ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর ঢাকায় থার্মোমিটারের পারদ নেমেছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী অঞ্চলের ওপর দিয়ে এখন তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অন্যান্য এলাকা এবং টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, নিকলী, শ্রীমঙ্গল, খুলনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, বরিশাল ও ভোলা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ শৈত্যপ্রবাহ চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের তাপমাত্রা সোমবারও সামান্য কমতে পারে। বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে চলে এলে মৃদু, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলে ধরা হয়। বৃহস্পতিবার থেকে রংপুর বিভাগসহ গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে এই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়।
বগুড়া : মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বগুড়ায় ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের কিছু সময় সূর্যের দেখা মিললেও প্রচণ্ড শীতে জনগণ বিশেষ করে ছিন্নমূলদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস বলছে, এ মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ আরও ৪-৫ দিন থাকবে। বগুড়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সজিব হোসেন জানান, রোববার সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ বিকাল ৩টায় ২০.৫ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি জানান, তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রির নিচে এলে শৈত্যপ্রবাহ বলে। ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। মাঝারি এ শৈত্যপ্রবাহ ৪-৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। সকালে ঘন কুয়াশা রয়েছে। রোদ থাকার সম্ভবনা থাকলেও প্রচণ্ড শীত অনুভূত হবে। এর আগে ১৯ ডিসেম্বর বগুড়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী বার্তা/admin