রাসিকের ১০৮০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন
আয় ও ব্যয় সমপরিমাণ ধরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ১০৮০ কোটি ২২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৩৬ টাকা ১৬ পঁয়সার প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত জরুরী সাধারণ সভায় (বাজেট সভা) এই বাজেট অনুমোদন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সভায় ২০২০-২০২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদিত হয়। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৯৬ কোটি ৭৯ লাখ ৩ হাজার ৩২৯ টাকা ৯২ পঁয়সা। সংশোধিত বাজেটে এর আকার দাঁড়িয়েছে ৫৬১ কোটি ২৩ লাখ ২৫ হাজার ৩৭ টাকা ৯৬ পঁয়সা।
সভার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ, জাতীয় চার নেতা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান, মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হয়।
সভায় রাসিক মেয়র বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করি। এরপর থেকে আমি ও আমার পরিষদ নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন এবং রাজশাহীকে আধুনিক, উন্নত, বাসযোগ্য, পরিচ্ছন্ন ও মডেল মহানগরী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ শুরু করি। ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় ২৯৩১ কোটি ৬১ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয় সাপেক্ষে ‘রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দেন। এছাড়া তিনি রাজশাহীর উন্নয়নে অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এজন্য রাজশাহীবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
মেয়র বলেন, করোনার এই দুঃসময়ে আমরা সর্বদা মানুষের পাশে আছি। ২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদেরকে খাদ্য ও ওষুধ প্রদান করা হচ্ছে। রামেক হাসপাতালকে ২টি অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর উইথ হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা প্রদান করা হয়েছে। ১২টি কেন্দ্রে ফ্রি র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। রাজশাহী সদর হাসপাতাল চালুর প্রচেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধকরণ ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম চলছে। প্রথম ঢেউয়ে সরকারিভাবে প্রাপ্ত ১৫৯৪.৮৫ মে. টন চাল ১০ কেজি করে এক লক্ষ ঊনষাট হাজার চারশত পঁচাশি জন মানুষের মাঝে বিতরণ করেছি। সরকারিভাবে প্রাপ্ত ৫৭ লক্ষ টাকা ও ২৯০০ প্যাকেট শিশু খাদ্য বিতরণ করেছি।ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩৩৮.৮৩২ মে. টন চাল, ৬১.০৮৪ মে.টন ডাল, ৬৪.৩৪৩ মে. টন আলু, ১৫.০০৮ মে.টন আটা সহ তেল, লবন, সবজি, পোলাও চাল, সেমাই, চিনি প্রদান করেছি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ‘তে সরকারিভাবে প্রাপ্ত ৮৫.৫৫ মে.টন চাল প্রায় ৮ হাজার ৫শ ৫৫ জন মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। শহীদ কামারুজ্জামান ও জাহানারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০ হাজার পরিবারকে ঈদ উপহার দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ১৮টি পেশাজীবী সংগঠনের ৪৬১৫ জনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী প্রদান করেছি। রেড ক্রিসেন্টের মাধ্যমেও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এভাবেই সব সময় মানুষের পাশে থেকে করোনা মোকাবেলায় আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশন পরিচালনায় ৯টি অগ্রাধিকার কর্মকৌশল ঠিক করেছি। সেগুলো হচ্ছে, পরিকল্পিত নগর অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে রুট পর্যায়ে নাগরিক সুবিধার উন্নয়ন। উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতা নিরসন এবং সবুজায়ন ও পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ/ উন্নয়ন এর মাধ্যমে নগরীর পরিবেশ উন্নয়ন। অপ্রচালিত আয়ের খাত সন্ধানের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি। নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে করোনা ভাইরাস, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ। রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নের মাধ্যমে আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি। কর্ম সম্পাদনে গতিশীলতা আনয়ন ও সেবার মান বৃদ্ধি। দাপ্তরিক কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ। আর্থিক ও সম্পদ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন। উন্নত চিকিৎসা সেবা সহজলভ্য করার নিমিত্তে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান/ইনস্টিটিউট স্থাপনের পরিকল্পনা
মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পটি অনুমোদনের পর যখন রাজশাহীকে বদলে দিতে কর্মযজ্ঞ শুরু করবো, ঠিক সেই মুহুর্তে রাজশাহীতেও করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়, স্থবির হয়ে যায় কার্যক্রম। তবে বর্তমানে করোনা মহামারির মধ্যেই প্রকল্পটির আওতায় সড়ক, ড্রেনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন নয়, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যস
রাজশাহী বার্তা/admin