রাবিতে নিয়োগ বাণিজ্যের তথ্য-প্রমাণ নিয়ে ইউজিসিতে চাকরি প্রত্যাশী

সময়: 12:54 pm - September 30, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 170 বার

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আইন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে চাকরি প্রত্যাশী মো. নুরুল হুদার স্ত্রীর সঙ্গে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার দর কষাকষির ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। নুরুল হুদা অভিযোগ করেন, উপ-উপাচার্য জাকারিয়া নিয়োগের জন্য তার স্ত্রীর মাধ্যমে টাকা চেয়েছেন। এবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) শিক্ষক নিয়োগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ জমা দিলেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ইউজিসিতে তদন্ত চলছে। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নুরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিটি। এসময় সাক্ষ্য -প্রমাণ জমা দেন তিনি। ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর ইউজিসিতে এসব তথ্য-প্রমাণ জমা দেয়া হয়।

নুরুল হুদা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে ইউজিসিতে চলমান তদন্ত কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে ডাকা হয়। তদন্ত কমিটির কাছে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের সব তথ্য-প্রমাণ জমা দিয়েছি। কমিটির সদস্যরা আমার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, আদালতে মামলার কার্যক্রম যেভাবে পরিচালিত হয়, সেভাবে ইউজিসির তদন্ত কমিটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অর্থাৎ আদালতে বিচারকার্য, সাক্ষ্য প্রমাণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মতোই হয়েছে। নিজের বক্তব্যসহ সব তথ্য-প্রমাণ জমা দিয়েছি। পাশাপাশি নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিষয়েও জানিয়েছি। আশা করছি, ইউজিসি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে।

রাবির আইন বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র নুরুল হুদা। তার বাড়ি লালমনিরহাট উপজেলায়। স্নাতকে সিজিপিএ ৩.৬৫ ও স্নাতকোত্তরে ৩.৬০ পান। আইন অনুষদে সেরা হয়ে ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক এবং ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পান তিনি। পরে আইন বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগের আবেদন করেন।

২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। ১৭ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভায় নিয়োগ অনুমোদিত হয়। এর পর দিন ১৮ নভেম্বর নিয়োগ প্রাপ্তরা বিভাগে যোগদান করেন।

পরে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার ফোনালাপের অডিও ফাঁস হয়। এতে নিয়োগের জন্য নুরুল হুদার স্ত্রীর সঙ্গে তাকে কথা বলতে শোনা যায়।

ফোনালাপে জাকারিয়া বলেন, আচ্ছা মা, একটা কথা বলতো, আমার খুব শুনতে ইচ্ছা যে এখানে তোমরা কত টাকা দেয়ার জন্য রেডি?

এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রেক্ষিতে নুরুল হুদা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, উপ-উপাচার্য জাকারিয়া ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর সাক্ষাৎকারের আগে আমার স্ত্রীর মাধ্যমে টাকা চেয়েছিলেন। ১৬ নভেম্বর উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে আমি বিষয়টি জানাই। কিন্তু সব কিছু জানালেও উপাচার্য এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

রাজশাহী বার্তা/Durul Haque

এই বিভাগের আরও খবর