নাটোরে শিশুকে পালাক্রমে বলাৎকার, ভিডিও ধারণ
নাটোরের লালপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামে শিশুকে (১০) নৌকায় উঠিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ৪ যুবক পালাক্রমে বলাৎকার করেছে। সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেছে তারা বলে অভিযোগ করেছেন শিশুটির বাবা। তাকে লালপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিকালে এ ঘটনা ঘটে। সেটি ধামাচাপা দিতে মীমাংসার নামে কালক্ষেপণ করেন স্থানীয়রা। পরে ওই শিশুর বাবা মানিক আলী বাদী হয়ে রোববার সন্ধ্যায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। আসামিরা পলাতক রয়েছেন। তবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মানিক আলী অভিযোগ করেন, ওই দিন বিকালে আমার ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে পানসিপাড়া গ্রামের বেগমতলার দক্ষিণ পাশে পদ্মা নদীর ধারে খেলতে যায়। এসময় ওই গ্রামের মুস্তাকের ছেলে মাহাফুজ, রান্টুর ছেলে রিমন, আব্দুর রহিমের ছেলে সেলিম, রেজাউলের ছেলে শিশির তাকে জোর করে পদ্মা নদীর ঘাটে বাঁধা নৌকায় নিয়ে যায়। এরপর মুখ চেপে ধরে পালাক্রমে বলাৎকার করে।
তিনি জানান, এসময় আমার সন্তানকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়ার ভয় দেখায় তারা। বলাৎকারের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে শিশির। শেষে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আমাকে সব জানায় আমার ছেলে। বিষয়টি স্থানীয় দুড়দুড়িয়া ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেনসহ গ্রামের মাতবরদের জানাই আমি। তারা ভিডিও উদ্ধার করলেও বিষয়টি মীমাংসার নামে কালক্ষেপণ করেন।
শিশুটির বাবা বলেন, পরে ছেলেকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। এরপরও গ্রামে বিচার না পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আব্দুর রাজ্জাক জানান, ওই শিশুর ওপর যৌন হামলা (সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট) চালানো হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে।
ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিশুটিকে বলাৎকার করার ভিডিও চিত্র আমি নিজেও দেখেছি। বিষয়টি সতর্কতার সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
রাজশাহী বার্তা/Durul Haque