স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা দুর্নীতির আখড়া: হারুন
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস এবং দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। এগুলো দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকার যাকে মনোনয়ন দিচ্ছে তারাই নির্বাচিত হচ্ছে।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের উপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর রশিদ একথা বলেন। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
হারুনুর রশিদ বলেন, নির্বাচন নামে বাংলাদেশে কোনো সংস্কৃতি নেই। নির্বাচনের নামে প্রহসন আর তামাশা হচ্ছে। সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন তিনি চোর ধরে চোর হয়ে যাচ্ছেন। তিনি বাস্তব সত্য বলেছেন। দুর্নীতির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার গঠন করে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন, দুর্নীতিমুক্ত জনপ্রতিনিধি তৈরি করা যাবে না।
সংসদের বিরোধীদল (জাতীয় পার্টি) আর সরকারিদল একাকার মন্তব্য করে হরুনুর রশিদ বলেন, সংসদে আমরা কথা বললে তার কাউন্টার দেয় যাদের বিরোধীদলে বসিয়েছেন তারা। বিরোধীদল আর সরকারিদল একাকার। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধীদলের কোনো প্রার্থী আছে? চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, অন্যান্য জায়গায় মহাজোটের শরিকরা একসঙ্গে ভোট করছে। সংসদের বাইরে এক চরিত্র ভিতরে এসে কী ভিন্ন চরিত্র করা সম্ভব?
তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি মির্জা কাদের বলেছেন, আজ নির্বাচন হলে বৃহত্তর নোয়াখালীর যারা এমপি আছেন তাদের দুই/তিনজন ছাড়া কেউ পালানোর দরজা খুঁজে পাবেন না। নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন অনিয়মের নির্বাচনের মডেল।
‘যশোরের এক এমপির সঙ্গে ওসির কথোপকথন ভাইরাল হয়েছে। সরাসরি তিনি ওসিকে থানায় বোমা নিক্ষেপ করতে বলেছেন। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমের বাড়ি ঘেরাও করে ওয়াকিটকি, মাদক অস্ত্র উদ্ধার করা হলো। কিন্তু তার ফাইনাল তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। র্যাবের ডিজি বলছেন আমরা যে অভিযোগ দাখিল করেছি তা সত্য। আর পুলিশ দিচ্ছে ফাইনাল রিপোর্ট। ’
বিএনপির এমপিদের সংসদে কথা বলতে দেওয়া হয় না অভিযোগ করে তিনি বলেন, সংসদ আজ দশদিন হলো চলছে। আমি বহু চেষ্টা করেছি সমসাময়িক বিষয়ে কথা বলার। কথা বলার সুযোগ দেওয়া না হলে সংসদে বিরোধীদল কী কাজ করবে? আমরা কী বেশ বেশ বলার জন্য সংসদে আসবো?
হারুনুর রশিদের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আপনি যতবারই পয়েন্ট অব অর্ডারের সময় চেয়েছেন আমি না বলিনি। আমি অপেক্ষা করতে বলেছি। আপনি কার্যপ্রণালী বিধি দেখাচ্ছেন- বিধি অনুযায়ী দৈনিক এজেন্ডাভুক্ত বিষয়গুলোকে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে। তারপরে আমি অনির্ধারিত আলোচনায় যেতে পারি। কাজেই আপনার কোনো অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়নি। আপনি সংসদ অধিবেশনে সারাক্ষণ উপস্থিত থাকতে চাননি। আপনি চলে গেলেন। সেটা আপনার বিষয়।
রাজশাহী বার্তা/admin