জয়পুরহাটে অবস্থিত পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি
জয়পুরহাট শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার পশ্চিমে সদর উপজেলার চকবরকত ইউনিয়ন ও নাওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের সমান্তবর্তী পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমি অবস্থিত ।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রায় দশ হাজার নিরিহ বাঙ্গালীকে নির্মমভাবে হত্যা করে গন কবর দেওয়া হয়েছে এই পাগলা দেওয়ান বধ্যভূমিতে । মূলত ১৯৭১ সালে ১৮ই জুন এই হত্যাকান্ড শুরু হয় ।
পাগলা দেওয়ানে ছিল পাকিস্তানী সেনাবাহীনি ক্রাম্প ও বাঙ্কার । স্থানীয়ভবে হত্যা ও নির্যাতন ছাড়াও মুক্তি যুদ্ধ চলাকালীন বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বিভিন্ন এলাকার মানুষ যারা প্রানের ভয়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয়ের জন্য এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন তাদেরকে ধরে লুটপাট করে নির্মমভাবে হত্য করা হয়েছিল এই বধ্যভুমিতে ।
স্বাধীনতার পর প্রায় দুই তিন মাস পর্যন্ত পচা লাশের গন্ধে এই এলাকার মানুষ বসবাস করতে পারেনি । চাষের জমিতে কোপ দিলেই বেড়িয়ে আসলো অর্ধ গলিত লাশের হাড় গোড় ।
১৯৯২ সালে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রচেষ্টায় এই বধ্যভূমিটি সম্পর্কে দেশবাসী জানতে পারে ।
পাগলা দেওয়ানে এখনো স্মৃতি স্বরূপ এখনে রয়েছে একটি বাঙ্কার । এলাকার প্রবীনরা এখনো শিউরে উঠেন এখানকার বাঙ্কার ও আশেপাশের স্মৃতিঘেরা ঘড়বাড়ি দেখে । এখানে আসলে আপনিও উপলব্ধি করতে পারবেন যুদ্ধের ভয়াবহতা কেমন হতে পারে ।
রাজশাহী বার্তা/admin