মিনু-দুলুসহ বিএনপির ৪ নেতার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ (আমলি আদালত বোয়ালিয়া) মামলাটি আমলে নেন। ‘প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা এবং সরকার উৎখাতের হুমকি’র পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলা হলো।
মামলার অন্য দুই আসামি হলেন-রাজশাহী নগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মােসাদ্দেক হােসেন বুলবুল এবং নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
মামলা দায়েরের সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহীর সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারসহ দলের শীর্ষ নেতারা।
আদালত চত্বরে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মিনু সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়েছেন। তারা আইনি প্রক্রিয়ায় এর বিচার চান। এর পাশাপাশি সাংগঠনিকভাবে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চান।
এর আগে ৯ মার্চ রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল জলিলের কাছে পেনাল কোডের ১২৩ (এ)/ ১২৪ (এ)/৩২ ধারায় বিএনপির এই চার নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ জমা দেন অ্যাডভোকেট মুসাব্বিরুল ইসলাম। জেলা প্রশাসকের দফতর হয়ে সেই আবেদন যায় নগর পুলিশ কমিশনারের দফতরে। সেখান থেকে যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিএনপির চার নেতার নামে মামলার অনুমোদন দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ বিকেলে নগরীর মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন একটি কনভেনশন সেন্টারে রাজশাহী নগর বিএনপির আয়োজনে বিভাগীয় সমাবেশ হয়। নগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের সঞ্চালনায় ওই সমাবেশে বক্তব্য দেন মিজানুর রহমান মিনু। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মিনু বলেন, ‘আজ রাত, কাল আর সকাল নাও হতে পারে। ’৭৫ মনে নাই?’ সেই সমাবেশে মিনু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন।
মিনুর এই বক্তব্য প্রচারের পর থেকেই প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে নগর আওয়ামী লীগ। পরদিন (৩ মার্চ) এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সেখানে মিনুকে জাতির সামনে ক্ষমা চাইতে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ক্ষমা না চাইলে মিনুর বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দেন লিটন।
এরই মধ্যে গত ৭ মার্চ বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে দুঃখ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেন মিজানুর রহমান মিনু। ওই বিবৃতিতে তার বক্তব্যে ষড়যন্ত্র না খোঁজার অনুরোধ জানান মিনু।
রাজশাহী বার্তা/admin