বগুড়া জেলার আদমদীঘিতে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী জেসমিন অলৌকিকভাবে মেয়ে থেকে ছেলে
বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী জেসমিন আক্তার অলৌকিকভাবে মেয়ে থেকে ছেলে হওয়ার চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) আদমদীঘি উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি জানাজানি হলে উৎসুক জনতা তাকে দেখতে ভিড় জমান।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার নসরৎপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন স্ত্রীকে গর্ভাবস্থায় রেখে বিদেশে চলে যান। জেসমিন আক্তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে উপজেলার শাওইলে নানার বাড়িতে বসবাস করতেন। সেখানে শাওইল দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়েন জেসমিন।
কিন্তু চার মাস আগে হঠাৎ জেসমিন আক্তারের কণ্ঠস্বর বদলে যেতে শুরু করে। আস্তে আস্তে ছেলেদের কণ্ঠ ধারণ করতে শুরু করেন তিনি। আচার-আচরণ, চলাফেরাও ছেলেদের মতো হতে থাকে। ৪৫ দিনের মাথায় জেসমিন আক্তারের শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে উৎসুক জনতা তাকে দেখতে বাড়িতে ভিড় জমান।
জেসমিনের বাবা জালাল হোসেন মণ্ডল জানান, আমার বড় মেয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় তার নাম রেখেছি জুবায়েদ মণ্ডল। আমি অনেক খুশি হয়েছি মহান আল্লাহ তাআলার কাছে।
জেসমিন আক্তারব লেন, আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি নামাজ-রোজা করতাম। তাহাজ্জুতের নামাজও পড়তাম। প্রথমে আমার কাছে তেমন কিছু মনে হয়নি। তিন মাস আগে হঠাৎ একদিন আমার গায়ে জ্বর আসে। এরপর থেকে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়ে যাই। এখন আমি পূর্ণাঙ্গ পুরুষ হিসেবে সুস্থ আছি।
রাজশাহী বার্তা/admin