পাবনায় এক রাতে মিলল তিন মরদেহ

ভ্যানচালক খুন হয়েছেন ছিনতাইকারীদের হাতে, তুচ্ছ ঘটনায় বাগবিতণ্ডায় স্ট্রোক করে মারা গেছেন ব্যবসায়ী, ঘুমন্ত স্ত্রীকে বিছানায় রেখে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। বৃহস্পতিবার রাতে পাবনার বেড়া উপজেলার আমিনপুরের তিনটি গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে মরদেহ তিনটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মৃতরা হলেন আমিনপুর থানার মাস্টিয়া গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে মন্টু সেখ, নাটিয়াবাড়ীর চিত্ত রঞ্জন সাহার ছেলে ব্যবসায়ী স্বদেশ সাহা ও শিমুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের রানা।

আমিনপুর থানার ওসি রওশন আলী শুক্রবার দুপুরে জানান, বৃহস্পতিবার রাতে জাতসাখিনী ইউনিয়নের মাস্টিয়া গ্রামের ইছাবিল এর পাশ থেকে মন্টু শেখ নামে এক যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মন্টু পেশায় ছিলেন ভ্যানচালক। তিনি বাড়ি থেকে বিকেলে ইঞ্জিনচালিত ভ্যান গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার পর রাতে খুন হন।

ওসি আরো জানান, সন্ত্রাসীরা তাকে গলাকেটে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। তার ভ্যানগাড়ি পাওয়া যায়নি। ভ্যানগাড়ি ছিনতাইয়ের জন্য তাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে নাটিয়াবাড়ী ঘাটের নতুন বাজারে স্বদেশ সাহা নামে একজন দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করতেন। এ দোকানটিতে আগে ব্যবসা করতেন আব্দুল হালিম নামের একজন। কিন্তু ঘরমালিক আব্দুল হালিমের উপর বিভিন্ন কারণে নাখোশ থাকায় দোকান ঘরটি কিছুদিন আগে স্বদেশ সাহার কাছে ভাড়া দেন। সেই আব্দুল হালিম বৃহস্পতিবার রাতে স্বদেশ সাহার দোকান থেকে সিগারেট কিনেন। কিছুক্ষণ পর গিয়ে ওই সিগারেট ফেরত দিতে চান। কিন্তু বিক্রিত সিগারেট স্বদেশ সাহা ফেরত নিতে চাননি। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে চরম বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্বদেশ সাহা স্ট্রোক করে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে শিমুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের রানা নামে এক যুবক বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘরে সন্ত্রীক ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতে কোনো এক সময় তিনি ঘরের বেড়ার ফাঁক দিয়ে বের হয়ে পাশের একটি গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস নেন। শুক্রবার ভোরে তার স্বজনরা তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি রওশন আলী জানান, এসব ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।