মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রীকে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সংবর্ধনা
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ. মান্নান, এমপি বলেছেন, উন্নয়নের জন্যে আমরা খরচ করবো। কিন্তু সব হিসেব রাখতে হবে, নিয়ম কানুন মেনেই সকল কাজ করতে হবে। কারণ যে অর্থ ব্যয় হবে তা জনগণের অর্থ। প্রধানমন্ত্রী চান এমন কাজ যাতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে পরিকল্পনা মন্ত্রীকে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে জাতীয় চার নেতাসহ যাদের জন্য আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, আমি যে রাজনৈতিক মতাদর্শের হই না কেন, বাঙালি হলে তাঁদেরকে ক্ষণে ক্ষণে মনে রাখতে হবে। আমি রাজশাহীর মাটিতে পা দিয়ে জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ কামারুজ্জামানকে সম্মান জানিয়েছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের ভালো সময় এসেছে। আমাদের কাজ করতে হবে। আমরা চাই আরো বেশি কাজ। এজন্য আমাদের সবাইকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে থাকতে হবে, পেছনে থেকে শক্তি জোগাতে হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শহীদ কামারুজ্জামানকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে আগামীতেও রাজশাহীর উন্নয়নে সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় মেয়র বলেন, দেশ ও সমাজের উন্নয়ন ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য পরিকল্পনার বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মহোদয় সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এই শস্যপণ্য দিয়ে এখানে শিল্পায়ন গড়ে তোলা সম্ভব। রাজশাহীতে বিসিক-২, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও চামড়া শিল্প পার্ক ইতোমধ্যে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। অনেক বিনিয়োগকারী আসবেন। রাজশাহী থেকে আব্দুলপুর ডাবল রেললাইন আমাদের প্রাণের দাবি। এছাড়া ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর প্রেমতলী হয়ে পাবনার ইশ^রদী পর্যন্ত নৌরুট চালু হলে এখানকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে, ঋণ সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে রেশম শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করা যাবে। এসব ক্ষেত্রে মন্ত্রী মহোদয়ের সহযোগিতা কামনা করেন এবং রাজশাহীর উন্নয়নে পাশে থাকার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানান মেয়র।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এবিএম শরীফ উদ্দিন। রাজশাহী মহানগরীর সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল হক। উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মাননীয় মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোঃ হুমায়ুন কবির, মেয়রপতœী সমাজসেবী শাহীন আকতার রেনী, রাসিকের প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সরিফুল ইসলাম বাবু, সচিব আবু হায়াত মোঃ রহমতুল্লাহ, মাননীয় মেয়র‘র একান্ত সচিব মোঃ আলমগীর কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহানা আকতার জাহান, এক্সিকিউটিভ সমর কুমার পাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে রাসিকের কাউন্সিলরবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন রাসিক মেয়র। এরআগে মন্ত্রী নগরভবনে পৌছালে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দ। এরপর বর্ণিল আয়োজনে মন্ত্রীকে বরণ করে নেওয়া হয়।
এরআগে বিকেল পৌনে চারটার দিকে মহানগরীর কাদিরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ. মান্নান, এমপি। পুষ্পস্তবক অর্পনের পর দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শহীদ কামারুজ্জামানের পুত্র রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। এছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, রাসিকের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মমিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী বার্তা/admin