রনিকে গোপনে বিয়ে করলেন পরীমনি

সময়: 2:54 pm - March 20, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 254 বার

গোপনে বিয়ে সারলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের গ্ল্যামার-কন্যা পরীমনি। তার স্বামীর নাম কামরুজ্জামান রনি। তিনি ছোটপর্দার নির্মাতা। গত ১০ মার্চ রাতে রাজারবাগ কাজী অফিসে চুপিসারে বিয়ে করেন তারা। ১০ দিন বাদে বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর প্রকাশ করেন নবদম্পতি।

অভিনেত্রী ও নির্মাতা হৃদি হকের ‘১৯৭১: সেই সব দিন’ ছবির সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন রনি। ছবির একটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন পরীমনি। এ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সখ্যতা গড়ে ওঠে পরী ও রনির। একপর্যায়ে রনিই বিয়ের প্রস্তাব দেন পরীকে। সেই প্রস্তাব অগ্রাহ্য করতে পারেনি পরী।

রনির সঙ্গে পরিচয় সম্পর্কে এই নায়িকা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রায় পাঁচ মাস আগে ছবির গল্প শোনানোর জন্য হৃদি আপুসহ রনি এসেছিল আমাদের বাসায়। তখন আমি তাকে খেয়ালই করিনি। শুটিংয়ে গিয়ে কোথায় থাকব, কীভাবে যাব, সেসব নিয়ে তার সঙ্গে প্রথম আলাপ শুরু হয়। এভাবেই একসময় আমাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে।’

পরীমনি বলেন, ‘মার্চের ৩ থেকে ৭ তারিখ আমরা ঠাকুরগাঁওয়ে শুটিং করি। সেখানে একসঙ্গে ভীষণ আনন্দে সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। ৮ মার্চ ঢাকায় এসে আমি রনিকে খুব মিস করছিলাম। পরদিন ৯ মার্চ আমরা দেখা করি এবং সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। আমার মন যেন কেমন করে ওঠে। ওই রাতেই আমরা বিয়ে করে ফেলি।’

এর আগে গত বছরের ১৪ এপ্রিল বিনোদন সাংবাদিক তামিম হাসানের সঙ্গে বাগদান সেরেছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের মিষ্টি নায়িকা পরীমনি। দুই পরিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের উপস্থিতিতে বেশ ধুমধামের সঙ্গেই হয়েছিল সে অনুষ্ঠান। এ বছরের ১৪ এপ্রিল তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কদিন পরেই ভেঙে যায় পরী ও তামিমের বাগদান।

শুধু তাই নয়, অভিনয়ে আসার আগে পরীমনির বিয়ে হয়েছিল বলেও গুঞ্জন রয়েছে। সে বিয়ের একটি কাবিননামাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই কাবিননামায় দেখা যায়, যশোরের কেশবপুরের ছেলে ফেরদৌস কবীর সৌরভের সঙ্গে ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল পরীমনির বিয়ে হয়েছিল। সৌরভ পেশায় একজন ফুটবলার। তার পরিবারের সম্মতিতেই পরবর্তীতে পরীমনি অভিনয় জগতে এসেছিলেন।

এর কারণ প্রসঙ্গে সে সময় পরীমনি বলেছিলেন, ‘আমার কাজকে যদি কেউ অসম্মান করে, সেখানে আমি কখনোই একচুল আপস করব না। লুকোচুরি ছাড়া ঢাকঢোল পিটিয়েই তামিমের সঙ্গে প্রেম করেছিলাম, হাতে তার দেয়া আংটিও পরেছিলাম। কারণ এখানে সম্মানের জায়গা ছিল। একইভাবে আমার কাজও সম্মানের জায়গা। সেটা যে না বোঝে তার সঙ্গে জীবন কাটানো অসম্ভব।’

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর