নিজ ঘরে বসেই নিজের স্তন বড় করার পদ্ধতি
সাধারণত ৩৪-৩৬ মেয়েদের স্ট্যান্ডার্ড ব্রেস্ট সাইজ। তবে অনেকের ব্রেস্ট আকারে ছোট হয়। এনিয়ে বেশ অসস্তিতে ভোগেন অনেক নারী। কারণ, বড় ব্রেস্ট মেয়েদের আকর্ষনীয় করে তোলে। এবং নারীর প্রকৃত সৌন্দর্য ফোটাতে সঠিক মাপের সুডৌল স্তনের জুড়ি নেই।
আজকাল বেশিরভাগ নারী স্তনের গুরুত্ব বোঝেন। আর কিভাবে নিজের স্তনকে সুডৌল ও সুন্দর করবেন তা নিয়ে ভাবনার শেষ থাকে না। আবার অনেকে চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে নানা ধরণের ব্রেস্ট এনলার্জিং ক্রিমও ব্যবহার করেন। কিন্তু এ ধরণের ক্রিম সাধারণত কোন কাজে আসে না একথা অনেক নারীই জানেন না। অনেকেই স্তন বড় ও সুন্দর করার নিয়ম খুঁজছেন বা অনেক পন্থা ইতিমধ্যেই অবলম্বন করছেন। কিন্তু তেমন সুফল পাচ্ছেন না।
তবে অনেকেই হয়তো জানে না এখন প্রাকৃতিকভাবেই ব্রেস্ট বড় করা যায়, সার্জারীর প্রয়োজন তেমন হয় না। যাদের ব্রেস্টের মাপ ৩৪-৩৬ এর নিচে তাদের জন্য আমাদের আজকের এই আয়োজন।
প্রাকৃতিকভাবে ব্রেস্ট বড় করার উপায়:
১. এক বা দুই সপ্তাহ পর পর নিজের ব্রেস্ট মাপুন, টাইট জামাকাপড় পরিধান করুন এবং সঠিক কাপ সাইজের ব্রা পরিধান করুন। এছাড়া ব্রেস্ট বড় করার জন্য ব্রেস্ট ইমপ্লান্ট সার্জারী রয়েছে। এটি ন্যাচারাল নয় বলে না করাই ভালো এবং এ পদ্বতিটি ব্যয়বহুল।
২. বাথরুমে স্নান করার সময় হাত দিয়ে ব্রেস্টের চারপাশ ১০/১৫ মিনিট ম্যাসাজ করবেন। চাইলে ম্যাসাজের সময় হালকা গরম করে সামান্য সরিষার তেল বা খাঁটি মধু ব্যবহার করতে পারেন। আপনার শরীর যদি রোগা হয় তাহলে ২/৩ মাস সুষম খাদ্য খেয়ে শরীরটা ঠিক করে নিন। দুধ, ডিম, ফল একটু বেশি খেলে উপকার পাবেন। চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করবেন। শরীর বাড়ার সাথে সাথে আপনার স্তন ও বড় হবে।
৩. পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে, রাতে অনেক ঘুমাতে হবে।
৪. মেয়েদের জন্য ব্রেস্টের কিছু স্পেশাল ব্যায়াম আছে যেমন: বেঞ্চ প্রেস, বাটারফ্লাই প্রেস, পুশ-আপ (বুকডাউন) নিয়মিত এগুলো করে স্তনের টিস্যুতে ব্লাড ফ্লো বাড়াতে হবে। এতে বুকের পেশিগুলো সঠিক শেপে এসে স্তনকে সুগঠিক করবে। এটা অনেকটা বডিবিল্ডাররা যেভাবে শরীরের পেশি বৃদ্ধি করে, সেভাবে কাজ করবে। দিনে বেশ কয়েকবার দুইহাত দুইদিকে প্রসারিত করে আবার এক করুন।
৫. আপনি যখন থেকে ব্রেস্ট বড় করার জন্য ব্যায়াম ও ম্যাসাজ শুরু করবেন, তখন থেকে ব্রেস্ট এনলার্জিং ক্রিম ব্যবহার করা বন্ধ করে দিন (যদি ম্যাসাজ শুরুর আগে থেকে ব্রেস্ট এনলার্জিং ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন)। কারণ এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। ব্রেস্ট ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে এসব ক্রিম/পিল ব্যাবহার করার ফলে।
৬. সঠিক মাপের ব্রা ব্যবহার করতে হবে। নইলে ব্রেস্ট ঝুলে যেতে পারে।
৭. হাত ঘষে গরম করে দুই হাত স্তনের নিচে হালকা চেপে ধরে ডানহাত ঘড়ির কাটার দিকে আর বাম হাতে ঘড়ির কাটার উল্টা দিকের মত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ১০-১৫ মিনিট এভাবে ১০০ থেকে ৩০০ বার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। মাস খানেকের মধ্যে ফল পাবেন।
রাজশাহী বার্তা/admin