মর’ণব্যাধি এই’ডস থেকে বাঁচতে চাইলে ৮টি নিয়ম পালন করুন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতি এবং চিকিৎসা ক্ষেত্রেও নতুন নতুন আবিষ্কার সত্ত্বেও এমন অনেক রোগ রয়ে গেছে যেগুলোকে আমরা এখনো জয় করতে পারিনি। শুধুমাত্র সতর্কতা এবং জ্ঞানই পারে আমাদেরকে এসব রোগ থেকে রেহাই দিতে। এমনই একটি রোগ হলো এই’ডস। এটি সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক রোগগুলোর একটি। এই রোগের জন্য দায়ী এইচ’আইভি ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের মাত্র এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই এর লক্ষণগুলো দেখা দিতে শুরু করে।
এইচ’আইভি ধীরে ধীরে আমাদের রোগ প্রতিরোধক কোষগুলোকে ধ্বংস করতে থাকে। আর এই ধ্বংসযজ্ঞ যখন চুড়ান্ত সীমায় পৌঁছায় তখনই এই’ডস হয়। এই’ডস হলে একই সঙ্গে অনেকগুলো রোগ আক্রমণ করে বসে। যার ফলে নিশ্চিত মৃ’ত্যু হয়। ১৯৮৫ সালে প্রথম মানবদেহে এই’ডস রোগ ধরা পড়ে। এরপর থেকে এই রোগে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ মারা গেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক এইচ’আইভি ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার উপায়গুলো কী।
১. নিরাপদ যৌ’ন মিলন
বী’র্য, যো’নি রস এবং র’ক্তের মাধ্যমে এইচ’আইভি ভাইরাস ছড়ায়। ওরাল, ভ্যাজা’ইনাল বা অ্যানাল সে’ক্স এর মাধ্যমেও এটা ঘটতে পারে। সুতরাং অপরিচিত কারো সঙ্গে যৌ’নতায় লিপ্ত না হওয়াই এ থেকে বাঁচার সবচেয়ে ভালো উপায়। অথবা নিরাপদ যৌ’ন মিলনের উপায়গুলো অবলম্বন করতে হবে।
২. দূষিত র’ক্ত
এইচ’ইআইভি ভাইরাস আছে এমন কোনো ব্যক্তির দেহে ব্যবহৃত সুই ব্যবহার করলে আপনারও এই’ডস হতে পারে। মেডিকেল সেক্টর এবং ট্যাটু স্টুডিওতে এমনটা ঘটতে পারে। সুতরাং সিরিঞ্জ ব্যবহারের দরকার হলে বা ট্যাটু করানোর দরকার হলে একেবারে নতুন সুই বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করুন।
৩. মাদকের সুই
মাদকসেবিরা সাধারণত সিরিঞ্জ ব্যবহার করে মাদক সেবন করেন। সেই একই সিরিঞ্জ একাধিক জনে ব্যবহার করলে এইচ’আইভি হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি আছে। কারণ কোনো একজনের যদি এইচ’আইভি থাকে তা অন্যদের দেহেও ছড়িয়ে পড়বে।
৪. দূষিত র’ক্তের ট্রান্সফিউশন
এইচ’আইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির র’ক্ত গ্রহণ করলে যে কারোরই এই’ডস হতে পারে। এমনকি এইচ’আইভি আক্রান্ত লোকের দেহ থেকে একটি টিস্যু বা অঙ্গও এই’ডস ছড়াতে পারে। সুতরাং র’ক্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।
৫. একাধিক যৌ’ন সঙ্গী
অপরিচিত জনের সঙ্গে যৌ’ন মিলন করলে এই’ডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। কারণ যারা একাধিক মানুষের সঙ্গে যৌ’ন মিলন করেন তাদের যৌ’নতাবাহিত রোগ হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকে।
৬. অনিরাপদ সুচবিদ্ধকরন
কান বা নাক ফোড়ানোর সময় বা এই ধরনের কোনো ছিদ্র করার সময় ব্যবহৃত সুচ থেকেও এইচ’আইভি ছড়াতে পারে। সুতরাং একেবারে নতুন সুচ ব্যবহার করে এই ধরনের ছিদ্র করুন।
৭. সংক্রমিত মায়ের কাছ থেকে সংক্রমণ
যে মায়ের দেহে এইচ’আইভি আছে তার সন্তানেরও এইচ’আইভি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। জন্মের আগে বা পরেও এই সংক্রমণ ঘটতে পারে। জন্মের পরে বুকের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে এই সংক্রমণ ঘটে। তবে যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে এই সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব।
৮. অন্যান্য যৌ’নতাবাহিত রোগ
আপনার যদি আগেও কোনো যৌ’নতাবাহিত রোগ হয়ে থাকে তাহলে আপনার এই’ডস হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। কারণ আগের যৌ’নতাবাহিত রোগের কারণে ত্বকে যে ক্ষত সৃষ্টি হয় তাতে এইচ’আইভি সহজেই দেহে প্রবেশ করতে পারে। এছাড়া যৌ’নতাবাহিত রোগ ত্বকে প্রদাহেরও সৃষ্টি করে যা সহজেই এই’ডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
রাজশাহী বার্তা/admin