বাঘায় রাস্তায় বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী লকডাউন
রাজশাহীর বাঘায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের পক্ষ থেকে তিনটি স্থানে রাস্তায় বাঁশ টানিয়ে দিয়ে অস্থায়ীভাবে লকডাউন শুরু করা হয়েছে। এক এলাকার লোকজন অন্য এলাকায় যেন না প্রবেশ করতে পারে এ জন্য আড়ানী বড়াল ব্রিজের দুই পাশে বাঁশ টানিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে এই পথ দিয়েই জরুরী প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা আছে।
জানা যায়, করোনা সংকটকে কেন্দ্র করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনগণকে ঘরে থাকতে বাধ্য করার চেষ্টা করছেন উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া দোকানপাট বন্ধে নোটিশ ও সারাদিন মাইকিং করা হলেও অনেক এলাকার মানুষ অগ্রাহ্য করছেন। বাধ্য হয়ে সোমবার সকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আলপনা ইয়াসমি উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী, পৌর আ.লীগের সভাপতি শহীদুজ্জামান শাহীদ, আড়ানী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও পুলিশকে সাথে নিয়ে আড়ানী ব্রিজের দুই মুখে বাঁশ টানিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে দু’জন গ্রাম পুলিশকে দায়িত্ব দিয়েছেন।
অন্যদিকে সেচ্ছায় গ্রামবাসির উদ্দোগে নুরনগর ও বেড়েরবাড়ি এলাকায় জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল ঠেকাতে প্রধান রাস্তায় বাঁশ টানিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে পরে জনগনের অসুবিধার কারনে খুলে দেয়া হয়েছে। আড়ানী নুরনগর গ্রামের বজলুর রহমান বলেন, নুরনগর ও বেড়েরবাড়ি গ্রামের প্রবেশ মুখে অপ্রয়োজনে কেউ পাড়ার ভিতর প্রবেশ ও বের হতে না পারে এ জন্য বাঁশ দিয়ে অস্থায়ীভাবে রাস্তা বন্ধ ও ‘লকডাউন’ লিখে দেয়া হয়েছে। পরে মানুষের অসুবিধার কারনে সেটি খুলে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী বলেন, করোনাভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে আড়ানী ব্রিজের দুই মুখে বাঁশ টানিয়ে দিয়ে অস্থায়ীভাবে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও আড়ানী এলাকায় অন্য জেলা ও উপজেলা থেকে কেউ আসছে কী না, সে সম্পর্কেও খোঁজ রাখা হচ্ছে।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, ইতিমধ্যেই পুঠিয়া এলাকায় একটি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে। আড়ানী থেকে পুঠিয়ার দুরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। এই এলাকা থেকে আড়ানীতে লোক প্রবেশ করতে পারে, তাই সতর্ক করার জন্য আগে থেকেই আড়ানী ব্রিজের দুই মুখে গ্রাম পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে জরুরী প্রয়োজনীয় যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থাও আছে।
রাজশাহী বার্তা/admin