রাজশাহীতে কাপড়ের দোকান খোলে রাখার ছবি তুলতে গিয়ে ৩ সাংবাদিক লাঞ্ছিত

রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজারে কাপড়ের দোকান খোলে রাখার ছবি তুলতে গিয়ে তিন সাংবাদিক লাঞ্ছিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনার পর সাংবাদিকরা প্রতিবাদ জানাতে রাস্তার উপর বসে পড়ে। এ সময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক শহিদুল ইসলাম দুখু কাপড়ের দোকান খোলার ছবি তুলতে গিয়ে প্রথমে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে লাঞ্ছিত হন যুগান্তরের ফটোসাংবাদিক আজম খান ও দৈনিক রাজশাহী সংবাদের ফটোসাংবাদিক মুকুল হোসেন। খবর পেয়ে রাজশাহী সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে আরডিএ মার্কেটের সামনের সড়কে বসে পড়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানায়।

রাজশাহী ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, সরকারি নির্দেশনা মতে আগামী ১০ তারিখের আগে শপিংমল খোলা যাবে না। কিন্তু তার আগেই রাজশাহীর সাহেববাজার এলাকায় বিভিন্ন দোকানপাট খুলেছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে একজন ফটোসাংবাদিক খুলে রাখা একটি দোকানের ছবি তুলছিলেন। তখন সাহেববাজার এলাকার রোজ কসমেটিকস সেন্টার নামের একটি দোকানের মালিক নুরুজ্জামান রুবেল তার কর্মচারীদের নিয়ে ওই সাংবাদিককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এ সময় অন্য দুইজন সাংবাদিক তাকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে তাদেরও লাঞ্ছিত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে আমরা সেখানে ছুটে যায় এবং এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত তারা সাহেববাজার এলাকায় রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানান। এসময় পুলিশ ও দোকান মালিক সমিতির নেতারাও এসেছেন। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, দোকানিরা অন্যায় করেছে। ফটোসাংবাদিকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।