রাজশাহীতে শহরের ঈদের নামাজের সময় জেনে নিন
রোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সারাদেশে এবার ঈদগাহ ও খোলা জায়গার পরিবর্তে মসজিদেই ঈদের নামাজ আদায় করতে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। তাই ঈদের দিন ঈদগাহের সেই চিরচেনা দৃশ্য এবার চোখে পড়বে না। ঈদের নামাজ শেষে কোলাকুলি না করতেও সরকারিভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে থেকে ঈদগাহগুলোতেও শুরু হয়নি সাজসজ্জার কাজ। এমন মলিন ঈদ দেশের মানুষ অতীতে আর কখনোই দেখেনি।
এবার মসজিদ কমিটির নির্ধারিত সময় অনুযায়ী রাজশাহীতে ঈদের নামাজ আদায় করা হবে। প্রতিটি মসজিদ কমিটি ঈদের নামাজের সময় নির্ধারণ করবে। রাজশাহী নগরীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগাহ মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। ইমামতি করবেন মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
এখানে ঈদের দ্বিতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়। তখন ইমামতি করবেন মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ রেজাউল করিম। নগরীর রানীবাজার জামে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে। এখানে ইমামতি করবেন মসজিদের খতিব মাওলানা শাহাদত আলী। তিনিই প্রতিবছর রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজে ইমামতি করে থাকেন।
হযরত শাহ মখদুম (রহ.) দরগাহ ট্রাস্টি বোর্ডের সরকার শরীফুল ইসলাম শরীফ জানান, ঈদের নামাজারে জন্য সবাইকে বাড়ি থেকে ওজু করে আসতে হবে। সঙ্গে আনতে হবে জায়নামাজ। তারা মসজিদ ফটকে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখবেন। সরকারি নির্দেশনা মেনেই তারা ঈদের নামাজ আদায় করবেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এবার যে যেখানে আছেন সেখানেই তাকে ঈদ উদযাপনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার ঈদের ছুটিতে যারা গ্রামের বাড়িতে ফিরতে চান তারা নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থায় বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়।
সরকারের উচ্চমহল থেকে পুলিশকে এ ধরনের একটি মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ছুটিতে জরুরি কাজের জন্য কেউ যদি গ্রামের বাড়ি ফিরতে চায় তাহলে পুলিশ যেন তাদের অনুমতি দেয়। তাদের যেন খুব বেশি হয়রানি বা প্রশ্নোত্তরের শিকার না হতে হয়। তবে গণপরিবহন চলবে না। ঈদ উপলক্ষে বিপুল সংখ্যক মানুষ এ অঞ্চলে এলেও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেছেন, প্রাইভেটকারে মানুষ রাজশাহী ফিরতে পারবেন এমন কোনো নির্দেশনা তারা পাননি।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাসে জেলা প্রশাসক হামিদুল হক লেখেন, প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে ঢাকার বাইরের জেলায় আসা-যাওয়ার কোন সরকারি সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। তাই কাউকে রাজশাহীতে না আসার অনুরোধ করা হলো।
রাজশাহী বার্তা/admin