বগুড়ায় একসঙ্গে মা-ছেলের আত্মহত্যা

সময়: 8:54 am - June 11, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 304 বার

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে একসঙ্গে বিষপানে মা ও ছেলে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেবার পথে মা ও রাতে হাসপাতালে ছেলের মৃত্যু হয়।

এর আগে বুধবার বিকালে তারা উপজেলার আমষট্ট গ্রামের বাড়ির কাছে জঙ্গলে গিয়ে বিষপান করেন। নিহতরা হলেন- দুপচাঁচিয়া উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের আমষট্ট গ্রামের নিতাই চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী স্বরস্বতী বর্মণ (৪৭) ও তাদের ছেলে ঢাকায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র রবীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ (২২)।

এলাকাবাসীরা জানান, দরিদ্র কৃষক নিতাই চন্দ্র বর্মণ মিতব্যয়ী। এ নিয়ে স্ত্রী স্বরস্বতীর সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হয়। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ছেলে রবীন্দ্র বাড়িতে ফেরেন। বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া ও সাংসারিক বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে নিতাই চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে ছেলে রবীন্দ্রের বাকবিতণ্ডা হয়। তখন মা স্বরস্বতী ছেলের পক্ষ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করেন।

বুধবার দুপুরেও এ নিয়ে নিতাইয়ের সঙ্গে তাদের ঝগড়া হয়। বেলা ১টার দিকে মা ও ছেলে মনের দুঃখে বাড়ির কাছে জঙ্গলে গিয়ে একসঙ্গে বিষপান করেন। এরপর দুজনই ছটফট করতে থাকেন।

দুপচাঁচিয়া থানার এসআই জাকির হোসেন জানান, পারিবারিক কলহে মা ও ছেলে একসঙ্গে বিষপান করেন। মা হাসপাতালে নেবার পথে ও ছেলে হাসপাতালে ভর্তির পর মারা গেছেন। দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের পর মরদেহ দুটি সৎকারের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে নিতাই চন্দ্র বর্মণের মেয়ে ডলি রানী বর্মণ দুপচাঁচিয়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর