রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চাপাতি দিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মীমাংসা বৈঠকে ডেকে নিয়ে চাপাতি দিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২২৫ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আল আকাবা সুহার্ত এবং দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসান এম শামীম।

অভিযুক্তরা হলেন- একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদুর রহমান বাপ্পী, রিয়াব হোসেন, আলিনুর বাদশা, নজীব হোসেন, দিপু চন্দ্র রায়, আবু বকর সিদ্দিক রিমু, এবং রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন কিস্কু।

সুহার্তর অভিযোগ, বন্ধুদের সঙ্গে একটু মনোমালিন্য এবং ধাক্কাধাক্কি হয়। সেই বিষয়টি সমাধানের জন্য বিভাগের বড় ভাই রুহুল আমিন কিস্কু তার রুমে ডাকেন। সেখানে গেলেই তিনি মীমাংসা করে নেয়ার কথা বলেন। তবে বাপ্পী ও দুইজন বন্ধু মিলে ফরিদকে মারধর শুরু করেন। পরে কিস্কু চাপাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে যান এবং চাপাতির উল্টো পিঠ দিয়ে ফরিদের পায়ের ওপর আঘাত করেন। ঠেকাতে গেলে সুহার্তকেও মারধর করেন।

ফরিদ বলেন, তৌহিদুর রহমান বাপ্পী, রিয়াব হোসেন, আলিনুর বাদশা, নজীব হোসেন, দিপু চন্দ্র রায়, আবু বকর সিদ্দিক রিমু তার বন্ধু। তারা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তারাও তাকে মারধর করেছেন।

মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন কিস্কু বলেন, বিভাগের কিছু ছোট ভাই সিআর নির্বাচন নিয়ে নিজেদের মধ্য দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমার কাছে এসেছিল। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সময় তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে। আমি তাদের দুই পক্ষকে শান্ত করে রুম থেকে বের করে দেই। এ সময় তাদেরকে দু-একটা থাপ্পড় মেরেছিলাম। তবে চাপাতি দিয়ে মারধরের ঘটনাটি অস্বীকার করেন তিনি।

এদিকে ফরিদের সহপাঠী তৌহিদুর রহমান বাপ্পীর কাছে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে এমন কোনো ঘটনা জানেন না বলে দাবি করেন। তবে পরে বলেন, একটু সমস্যা হয়েছিল সেটি মিটে গেছে। তিনি মারধরের সঙ্গে জড়িত নন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রওশন জাহিদ বলেন, বিষয়টি কেউ আমাকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।