বগুড়ার কাহালুতে কলেজছাত্র হত্যা রহস্য উন্মোচিত
বগুড়ার কাহালুতে কৃষি কলেজছাত্র আরমান হোসেন আন্না (১৯) হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেম থাকায় আসামি ওবাইদুর রহমান খান অপর আসামি মো. সুজনের মাধ্যমে তাকে ডেকে নিয়ে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ কবরস্থানে পুঁতে রাখে।
মঙ্গলবার বিকালে সুজন বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুর রহমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এছাড়া আসামি ওবাইদুর রহমান খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, আরমান হোসেন আন্না কাহালুর ডোমরগ্রামের আজিজার রহমানের একমাত্র ছেলে। তিনি গাইবান্ধা সরকারি কৃষি ইন্সটিটিউটের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত কয়েক মাস ধরে বাড়িতে ছিলেন।
ডোমরগ্রাম পূর্বপাড়ার আলহাজ নওশের আলী খানের ছেলে ওবাইদুর রহমান খানের (৪০) স্ত্রীর সঙ্গে আন্নার পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। স্ত্রীকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তিনি (ওবাইদুর) প্রেমিক আন্নাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
তিনি এ ব্যাপারে আন্নার বন্ধু জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার সাহালাপাড়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে মো. সুজনের (২২) সঙ্গে পরামর্শ করেন। সুজন গ্রামের হিলারীর মুরগি ফার্ম ও পুকুরের পাহারাদার। ওবাইদুর গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে সুজনের মাধ্যমে আন্নাকে পুকুরপাড়ে ডেকে আনেন।
এরপর পরিকল্পনা অনুসারে ওবাইদুর, সুজন ও অজ্ঞাত ২-৩ জন গলায় রশির ফাঁস দিয়ে আন্নাকে হত্যা করে। পরে পাশে কবরস্থানে লাশটি পুঁতে রাখে তারা। পরদিন সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহত আন্নার বাবা আজিজার রহমান কাহালু থানায় ওবাইদুর ও সুজনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা এবং লাশ গুমের মামলা করেন। পরে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে।
কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার সুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন। এছাড়া আদালত ওবাইদুরকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজশাহী বার্তা/admin