রাজশাহীর তানোরে গির্জায় আটকে রেখে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় এক ফাদারের বিরুদ্ধে আদিবাসী কিশোরীকে (১৫) তিন দিন ধরে গির্জায় আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মাহালীপাড়া এলাকার সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ফাদারের নাম প্রদীপ গ্যা গরীর। তিনি সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায় কর্মরত। তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ করলে আমরা ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করি। সেখান থেকে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হবে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আদিবাসী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী গত শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির পাশে ওই গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুজির পর তাকে না পেয়ে পরদিন রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) তানোর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তার পরিবার।
পরে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গির্জার ফাদার প্রদীপের ঘরে ওই কিশোরী বন্দি আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পরিবারের সদস্য ও এলাকার লোকজন সেখানে খোঁজ করে তাকে উদ্ধার করেন।
এরপর সন্ধ্যায় গির্জার ভেতরে সালিশি বৈঠক বসে। সেখানে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ফাদার প্রদীপকে অপসারণ করে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। আর ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে গির্জার ভেতরে সিস্টারদের কাছে রাখা হয়। গির্জার প্রধান ফাদার প্যাট্রিক গমেজ ও সালিশি বৈঠকের প্রধান কামেল মার্ডি কিশোরীকে আটকে রেখেছিলেন। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজের জিডি থানা থেকে প্রত্যাহার করলে তাকে ছাড়া হবে বলে জানায় গির্জা কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ওই কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে সন্ধ্যায় তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো গির্জা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান জানান, ওই কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আর সালিশি বৈঠকের পর থেকে অভিযুক্ত ফাদার পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রাজশাহী বার্তা/admin