স্বামীর জন্য একজন নেককার স্ত্রী সবচেয়ে বড় সম্পদ

সময়: 8:17 am - January 27, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 149 বার

পরস্পর আন্তরিকতা এবং ভালোবাসায় সুখকর হতে পারে স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক জীবন। এজন্য সেখানে একজন নেককার স্ত্রীর যথেষ্ট ভূমিকা থাকে। একজন সৎ ও নেককার স্ত্রী তার স্বামীর জন্য অনেক বড় নেয়ামত। আল্লাহ তাআলা নারী ও পুরুষকে ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্য এবং ভিন্ন ভিন্ন রূপ ও অবয়বে সৃষ্টি করেছেন। কুরআন ও ইসলামের আলোকে বলা হয়েছে, একজন স্বামীর জন্য তার নেককার স্ত্রী সবচেয়ে বড় সম্পদ। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারী জাতিকে দুনিয়াতে সবচেয়ে উত্তম হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

সৎকর্মশীল ও ঈমানদার নারীদের প্রসঙ্গে পবিত্র, কুরআনের সূরা নিসা ও সূরা ফাতাহ তে আল্লাহ তাআলা বলেন, যে কেউ হোক সে পুরুষ বা নারী সৎকর্ম করে এবং আল্লাহকে বিশ্বাস করে, তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের প্রাপ্য তিল পরিমাণও নষ্ট হবে না। (সূরা নিসা, আয়াত নং ১২৫)আল্লাহ তাআলা বলেন, যে নারী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, রোজা রাখে, নিজ চরিত্র হিফাজত করে ও স্বামীর আনুগত্য করে, তাকে বলা হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে জান্নাতে প্রবেশ কর।  (সূরা আল ফাতাহ, আয়াত নং ৫)সৎকর্মশীল নেককার ও দ্বীনদার নারীদের ফজিলত সম্পর্কে হজরত উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত এক হাদিসে আছে, নেক ও সৎকর্মপরায়ণ একজন নারী এক হাজার বেআমল পুরুষ হতে ঊত্তম। (আনীসুল ওয়ায়েমীন) সহিহ বুখারি ও মুসলিমে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে বলা হয়েছে, নবি কারিম (সাঃ) বলেছেন, নিশ্চয়ই পৃথিবীর নেককার স্ত্রী জান্নাতের মাঝে সত্তর হাজার রূপসী হুরদের চেয়েও উত্তম হবে। (আত তাযকিরা: ৫৫৬)কুরআন হাদিসের আলোকে বোঝা যায়, স্বামী-স্ত্রীর সুসম্পর্ক দাম্পত্য জীবনে সুখ-শান্তি লাভেই শুধু জরুরি নয় বরং পরকালের সফলতায়ও খুবই জরুরি।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর