শিশুদের জন্য সহজ সাবলীল লেখা হওয়া চাই

সময়: 4:02 pm - February 22, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 317 বার

বাবা-মায়ের হাত ধরে প্রতিদিনই শিশুরা মেলায় আসে। বইয়ের জন্য বায়নাও ধরে। বাবা-মা পছন্দের বই তুলে দেন তাদের হাতে। কিন্তু মেলায় শিশুদের জন্য বিশেষ প্রহরের চিত্র অন্যরকম।

শনিবরা (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিশুপ্রহরের এই সময় শিশুরাই যেন মূল ক্রেতা। রঙচঙা হরেক বই থেকে তাদের চোখ যেন আর উঠতেই চায় না। সকাল ১১টা থেকে পুরোটা সময়জুড়ে ছিল শিশুদের মুখরতা। বই কেনা আর বাবা-মার কাছে বায়নায় ভরপুর।

এবারে মেলায় আসা বইয়ের মধ্যে শিশুদের বইয়ের সংখ্যাও অনেক। নামকরা লেখকদের পাশাপাশি তরুণরাও লিখছেন শিশুদের জন্য। তবে শিশুদের জন্য সুন্দর আর সহজ গল্প লেখার পরামর্শ বিশিষ্ট লেখকদের।

এ প্রসঙ্গে কথাসাহিত্যিক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আজকাল শিশু-কিশোরদের জন্য যারা বই লিখছেন, সেসব তরুণদের রচনা দেখে মনে হয়, তারা নিজেদের খুব বেশি গুরুজন মনে করেন। বইয়ের পাতায় পাতায় তারা উপদেশ দেন। তারা মনে করেন, খুব গভীরভাবে চিন্তা করে, কঠিন বাক্য সাজিয়ে একটা চিরায়ত সাহিত্য রচনা করতে হবে। কিন্তু আসলে তো ব্যাপারটা তা নয়। শিশুদের জন্য লিখতে হবে সুন্দর, সহজ গল্প।

তিনি বলেন, শিশুসাহিত্য লিখতে গেলে সবার আগে নিজের শৈশবের কথাই চিন্তা করতে হবে। শিশুদের জন্য সাহিত্য রচনায় জটিল বাক্যবিন্যাসে গুরুগম্ভীর ভাবনার প্রকাশ ঘটানোর পরিবর্তে শিশুর চারপাশের ঘটনাবলীকে সহজ-সরল ভাষায় উপস্থাপন করতে হবে।

অভিভাবকদের প্রত্যাশাও ঠিক তাই। এ প্রসঙ্গে কয়েকজন অভিভাবক বাংলানিউজকে জানান, কিছু বই আছে, যেগুলো অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভাষায় লেখা। আবার কিছু বই বেশ কঠিন বাক্যে। অভিভাবক হিসেবে তো তেমন বইটাই চাইব, যেটা আপনা-আপনি আমার শিশু পড়তে পারবে এবং ক্রমে উন্নতি করতে পারবে।

গ্রন্থমেলার রীতি অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারির সব শুক্র ও শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর চলে বইমেলায়। যথারীতি এবারও শনিবার ছুটির সকালটি খুদে পাঠকদের জন্য ছিল এক অন্যরকম আনন্দের দিন। একইসঙ্গে এ দিনও মেলার শিশু-কিশোর পাঠকদের জন্য এসেছে অনেক নতুন বই।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর