নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব নিন
ছোট বেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে দু’ভাই বোন প্রায় একা একাই বড় হয়েছে তৃষারা। তৃষাকে কাজের জন্য এখন একাই থাকতে হয়, ভাইটাকেও নিজের কাজ ও ব্যস্ততার কারণে আলাদা থাকতে হচ্ছে। একা একটা মেয়ের জন্য এই সমাজে চলা বেশ কঠিন, এটা আমরা জানি। তারপরও জীবনের তাগিদে যাদের একা থাকতে হয়, তারা একাকীত্বে না ভুগে কীভাবে আরেকটু ভালো থেকে জীবনটাকে উপভোগ করতে পারবেন, একটু ভাবুন।
একা থাকাটা ভালো থাকায় পরিণত করবেন যেভাবে- ভালোবাসা কি শুধু অন্যকে দেওয়ার জন্য, নিজের জন্য কি আমরা কখনো ভেবেছি? নিজেকে কখনো ভালোবেসেছি? প্রিয় বন্ধুটির কোনো ভালো খবরে পার্টি দেই আমরা। নিজের কোনো কৃতিত্বের জন্য কি কখনো কোনো গিফট্ কিনেছি? অন্যকে ভালোবাসতে হলে নিজেকেও ভালো থাকতে হবে। নিজের জীবনের অর্জনগুলোকে উদযাপন করতে হবে।
কয়েক দিন কাজ করে হাঁপিয়ে উঠেছেন? কিছুটা সময় নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়তে পারেন যেকোনো জায়গায়। নিঃসঙ্গতা কাটাতে মাঝে মাঝে যোগাযোগ করতে পারেন পুরানো বন্ধুদের সঙ্গে। কোথাও আড্ডা হয়ে যাক সবাই মিলে, এই ভালো সময়ের স্মৃতিটাই চাঙা রাখবে বেশ অনেক দিন।
বিশেষ কোনো দিন শুধু নিজের পছন্দের আইটেমগুলো তৈরি করুন। এরপর অতিথি এলে যেভাবে পরিবেশন করেন, সেভাবে সাজিয়ে আগে একটি ছবি তুলুন। এতো রান্না করলেন, বন্ধুদের দেখাতে হবে না? এবার নিজেও একটু তৈরি হয়ে বাতি নিভিয়ে একটি মোম জ্বালিয়ে খেতে শুরু করুন। এই আয়োজন করতে করতেই দেখবেন মনে ভালো লাগা তৈরি হয়েছে।
জন্মদিনে কেউ উপহার দেয় না বলে মন খারাপ করছেন? আপনার সাধ্যের মধ্যে সুন্দর কোনো উপহার কিনুন। আর নিজেকেই গিফট করুন। জন্মদিন বা যেকোনো উৎসব, কোনো অর্জন সবই সেলিব্রেট করুন, ছোট ছোট উপহারে।
কারো সঙ্গেই যোগাযোগ না রাখার দিন তো এটা না। সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হবে। আর এজন্য তো রয়েছেই বেশ কিছু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম।
ব্যস্ত থাকলে সময় যেমন দ্রুত পার হয়। তেমনি জীবনের এই গতি আমাদের উন্নতির শীর্ষে পৌঁছে দিতে সাহায্য করে।
আমরা যখন একটা পরিবারে থাকি, তখন প্রিয়জনদের ভালো রাখার চেষ্টা করি। আর তারাও দায়িত্ব নেয় আমাদের ভালো রাখার। কিন্তু যখন আমরা একা থাকি, নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব তো নিজেকেই নিতে হবে। নিজে ভালো থাকুন। তাহলেই অন্যদের জন্য ভালো কিছু করতে পারবেন।
রাজশাহী বার্তা/admin