সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল-ক্যামেরা-মোবাইল ছিনতাই মামলায় জড়িতদের খুঁজছে পিবিআই
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের গেইটের সামনে ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সংবাদ সংগ্রহের সময় দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল, ক্যামেরা এবং মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার পক্ষে প্রধান প্রতিবেদক তারেক হাবিব এ মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১৫ কর্ম দিবসের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর বিকেলে হবিগঞ্জ সদর থানার পাশে জেলা পরিষদের গেইটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রæপের সংঘর্ষের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করার সময় দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সাংবাদিকদের মারপিট করে ২টি মোটরসাইকেল, ক্যামেরা এবং মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায় কয়েকজন সন্ত্রাসী। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ মামলায় আসামীরা হলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রামের মোসাদ্দার আলীর পুত্র সাইদুর রহমান (৩০), বানিয়াচং উপজেলার উত্তর সাঙ্গর গ্রামের মৃত কিম্মত আলীর পুত্র মহিবুর রহমান (৩২), হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বড় বহুলা গ্রামের সালেহ মিয়ার পুত্র সাব্বির আহমেদ রনি (৩৪), কৌশিক আচার্য্য পায়েল (৩০), চিড়াকান্দি আবাসিক এলাকার বেনু রায়ের পুত্র বিভাকর রায় বাপ্পী (৩০), ইনাতাবাদ আবাসিক এলাকার দিদার হোসেনের পুত্র সিরাজুল ইসলাম শান্ত (২৮), সায়ন আহমেদ মারুফ (৩২), সদর উপজেলার রিচি গ্রামের শানু মাষ্টারের পুত্র অপু মিয়া (২৪), যশেরআব্দা এলাকার সুনীল দেবনাথের পুত্র সৈকত দেবনাথসহ (২৫) অজ্ঞাত আরও কয়েকজন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি ‘দৈনিক আমার হবিগঞ্জ’ পত্রিকার আইন উপদেষ্টা এমএএনএম শিবলী খায়ের জানান, দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল, ক্যামেরা এবং মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আশা করা যায় সাংবাদিকরা সুবিচার পাবেন। মামলার বাদী দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার সাংবাদিক তারেক হাবিব জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন আশা করছি ন্যায় বিচার পাব। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে অভিযুক্তদের অনেকের বিরুদ্ধে গরু চুরি, ছিনতাই, নারী কেলেঙ্কারীসহ আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে বলেও জানা গেছে। পিবিআই এএসপি মিয়া কুতুবুর রহমান চৌধুরী জানান, তদন্তে সাক্ষ্য প্রদানে যা সত্য পাওয়া যাবে তাই আদালতে প্রেরণ করা হবে। দোষী ব্যক্তি নেতা বা মাস্তান যাই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
রাজশাহী বার্তা/admin