রামেক হাসপাতালে নার্সকে যৌন হয়রানি, চার কর্মকর্তাকে তলব

সময়: 9:02 pm - January 29, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 115 বার

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসকের হাতে একজন নার্স যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। এ ঘটনা গোপন করার অভিযোগে রাজশাহীর চার কর্মকর্তাকে তলব করা হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তাদের ঢাকায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও শিক্ষা) মোহাম্মদ আবদুল হাই স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

তলবের নোটিশ পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- রাজশাহীর পাবলিক হেলথ নার্স ফ্রান্সিসকা সরেন, রামেক হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক আনোয়ারা খাতুন ও উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক সুফিয়া খাতুন। তবে বিভাগীয় সহকারী পরিচালককে (নার্সিং) তলব করলেও প্রায় দুমাস ধরে পদটি ফাঁকা রয়েছে। এ পদে কোনো কর্মকর্তা নেই।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের চিঠিতে বলা হয়েছে, জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় অধিদপ্তরে অবহিত করার জন্য মাঠপর্যায়ে এ চার পদের কর্মকর্তা আছেন। কিন্তু তারা নার্সের যৌন হয়রানির বিষয়টি অধিদপ্তরকে জানাননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে অধিদপ্তর বিষয়টি অবহিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অধিদপ্তরকে না জানানোর কারণে যৌন হয়রানির শিকার সিনিয়র স্টাফ নার্সের সুরক্ষার বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্ণিত চার পদের কর্মকর্তাদের বিষয়টি অধিদপ্তরকে না জানানো দায়িত্বে চরম অবহেলা, অদক্ষতা ও প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল যা অসদাচরণ হিসেবে গণ্য। তাই সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদনসহ তাদের অধিদপ্তরে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে রামেক হাসপাতালের সেবা তত্ত্বাবধায়ক আনোয়ারা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, এটা তো আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা কী করবো সেটা আমাদের বিষয়। অধিদপ্তরে তলবের বিষয়ে তিনি বলেন, চিঠি পেয়েছি। কী করা যায় দেখছি।

জানা যায়, গত ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি রামেক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মামুন-অর-রহমান নামে এক চিকিৎসকের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স।

মামুন সরকারি হাসপাতালে নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক নন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যানেসথেসিয়া ডিপ্লোমা করছেন। সেখান থেকেই কোর্স সম্পন্ন করতে আসেন রামেক হাসপাতালে। ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করা ডা. মামুন চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। ছুটি নিয়ে তিনি অ্যানেসথেসিয়া কোর্স করছেন।

রামেক হাসপাতালে যৌন হয়রানির ঘটনা জানাজানি হলে ২০ জানুয়ারি ডা. মামুনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর