এ বছরই রাজশাহীতে হবে ডিজিটাল সিনেপ্লেক্স
চলতি বছরই রাজশাহীতে জয় সিলিকন ভ্যালিতে একটি ডিজিটাল সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তবে পর্যায়ক্রমে বারোটি হাইটেক পার্কে টি করে ডিজিটাল সিনেপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ শুক্রবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে “আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব-২০২১” এর সমাপনী ও পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ তথ্য জানান।
চলচ্চিত্র সৃজনশীল শক্তিশালী একটি মাধ্যম ও সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার উল্লেখ করে তিনি বলেন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রগতিশীল সমাজ গঠন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সন্তানদের ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করা সম্ভব। প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ ধরনের আয়োজন ও আয়োজকদের প্রশংসা করে বলেন, বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আছে বলেই এতো বাধা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা এ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালকে সফলভাবে আয়োজন করেছে। তিনি বলেন আমাদের সন্তানদের মেধার ঘাটতি নেই। দরকার শুধু একটি সুযোগের। তাদের সুযোগ করে দিতে হবে।
পলক বলেন, শিশুদের আধুনিক শিক্ষা ও প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের সন্তানেরা অ্যানিমেশন, রোবোটিক্সসহ আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হবে।
তিনি বলেন, দেশে ১২ টি হাইটেক পার্ক সিনেপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। শিশুদের নির্মিত চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিকমানের হলে হাইটেক পার্কের সিনেপ্লেক্সে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে ।
চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তার অঙ্গীকারও করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আয়োজনের জন্য যেন শিল্পকলা একাডেমির অডিটোরিয়াম পাওয়া যায় তার জন্য তথ্যমন্ত্রী, সংস্কৃতিমন্ত্রী ও প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, একটি কুচক্রী মহল দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।দেশের বিরুদ্ধে আসা সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে চলচিত্রের মাধ্যমে ক্ষুদে নির্মাতা ও কলাকুশলীরা অবদান রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেন পলক।
সংগঠনটিকে ৫০ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন তিনি। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, মি. লিয়াকত আলী লাকী।
উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি থেকে ৭দিন ব্যাপী আয়োজিত উক্ত উৎসবে উপলক্ষে ৩টি ভ্যানূ হতে ৩৭টি দেশের ১৯৭টি শিশু চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে প্রতিমন্ত্রী ৭টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
রাজশাহী বার্তা/admin