এমএলএম ফাঁদে জিম্মি ৩৭ জন উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

রাজশাহীতে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ফাঁদে ফেলে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল ৩৭ জন তরুণ-তরুণীকে। তাদের টাকা আটকে রেখে নতুন সদস্য সংগ্রহের করানো হচ্ছিল জোর করেই। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করেছে। এছাড়া এদের জিম্মি করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার মেছপাড়া জিউপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মান্নান মণ্ডলের ছেলে মোহাইমিনুল হক মিনু (২৪), তার স্ত্রী শিলা বেগম (২০), নাটোর সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের আসলাম আলীর শিমুর হোসেন (১৯) এবং রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার যষ্ঠিতলা মহল্লার রঞ্জন দাসের ছেলে রাকেশ দাস (৩০)।
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর দক্ষিণ দড়িখড়বোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তিনটি বাড়ি থেকে ৩৭ জন চাকরি প্রত্যাশী বেকার তরুণ-তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। বোয়ালিয়া থানা পুলিশ এ অভিযান চালায়।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেনম গ্রেপ্তার চারজন বেস্ট ওয়ান মার্কেটিং এজেন্সী নামের একটি এমএলএম কোম্পানী চালু করেছিলেন। তারা চাকরি প্রত্যাশী প্রত্যেকের কাছ থেকে সিভিবাবদ ৫৬০ টাকা এবং কোম্পানীতে যোগদান বাবদ এককালীন ৩৬ হাজার টাকা নেন। এর মধ্যে থাকা-খাওয়ার জন্য ১৮ হাজার টাকা এবং পণ্যসামগ্রী বাবদ আরও ১৮ হাজার টাকা। যারা টাকা দিয়েছিলেন তাদের জিম্মি করে নতুন সদস্য আনার কাজ করানো হতো। ভুক্তভোগী এক তরুণ এ ব্যাপারটি পুলিশকে জানায়। এরপরই অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ অভিযানের সময় দেখেছে, কোম্পানী প্রতিজনের জন্য ব্যয় করে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে আট হাজার টাকা মূল্যের এলইডি মনিটর এবং ৫ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোনসেট। কোম্পানী প্রতিজনের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৪ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেয়। এভাবে ভুয়া এই কোম্পানীটি বিপুল অর্থ আত্মসাত করছে।
আরএমপির মুখপাত্র আরও জানান, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী বার্তা/admin