গুরুদাসপুরে ভাতিজার হাতে প্রাণ গেল চাচার

সময়: 2:24 pm - March 3, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 177 বার

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ভাতিজার হাতে আহত চাচার মৃত্যু হয়েছে। চাচার নাম তারেক আলী (৬৫)।

সোমবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ছেলে মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় ভাতিজা শাহ অলম তার ভাই ময়নাল হোসেনসহ হাবিবুর, হামিদুল, রাজু, আব্দুর রহমান ও ঝর্ণা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের পিপলা গ্রামে গত ৩০ জানুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকে তারেক আলী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

পরিবারসূত্রে জানা গেছে, বাড়ির সীমানা নিয়ে ভাতিজা শাহ আলমের সঙ্গে তারেক আলীর বিরোধ ছিল। ঘটনার দিন প্রতিপক্ষ শাহ আলম তার লোকজন নিয়ে তারেক আলীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।

বাধা দিতে গিয়ে তারেক আলী, তার স্ত্রী মালেকা বেগম, ছেলে মাসুদ রানা, মাসুদের ছেলে আলিম ও স্ত্রী আলুফা আহত হন। গুরুতর আহতাবস্থায় তারেক আলীকে প্রথমে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

পরে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তারেক আলীকে। এ ঘটনায় ছেলে মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।

নিহতের ছেলে মনিরুল ইসলাম জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের কারণে তার বাবাকে হত্যার জন্য এ হামলা চালানো হয়েছিল। বাবার হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও আসামিদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।

এ ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিরা পলাতক থাকায় কারও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় ইউপি সদস্য (৪ নম্বর ওয়ার্ড) মো. আবদুস সামাদ জানান, রাগ ও ক্ষোভের বসে আসামিরা তারেক আলীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে আপসের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছিলেন গ্রামের মানুষ। এখন হত্যা মামলা হওয়ায় আপসের সুযোগ আর নেই। ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্তরা।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, হত্যাচেষ্টা মামলার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন। ওই মামলাটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর