বগুড়ায় সফিউল হত্যা মামলায় যুবকের স্বীকারোক্তি
বগুড়া সদর উপজেলার মাটিডালি এলাকায় মসলা কেনা নিয়ে বিবাদে সফিউল ইসলামকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন পাভেল জিলাদার ও তার কয়েকজন বন্ধু। এ হত্যা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পাভেল।
রোববার (২৭ জুন) সকালে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পুলিশের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শনিবার বগুড়া সদরের সঞ্জিতা ইসলামের আদালতে ওই যুবক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঢাকার হাতিরঝিল থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি বগুড়া শহরের ধরমপুর এলাকার মৃত আইনুল জিলাদারের ছেলে।
শনিবার আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে পাভেল জানান, মসলা কেনা নিয়ে বিবাদের জেরে তিনি ও তার মহল্লার কিছু বন্ধুরা মিলে সফিউলকে হত্যা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, ১৪ এপ্রিল রাত পৌনে ১২টার দিকে শহরের মাটিডালী এলাকায় সফিউল ইসলামকে (৩৫) ছুরিকাঘাত হত্যা করে দুর্বত্তরা। হত্যার শিকার সফিউল শহরের রাজাবাজারে একটি মুদি দোকানে কাজ করতেন। পরের দিন নিহতের মা সুরাইয়া আক্তার পারুল বেওয়া বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
ওসি বলেন, ‘প্রথমে বিষয়টি ক্লুলেস থাকলেও ঘটনার সঙ্গে জুড়ে থাকা স্থানগুলোর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা নিশ্চিত হই পাভেল এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তবে ঘটনার পর থেকে সে পলাতক থাকায় আমরা তাকে গ্রেফতার করতে পারছিলাম না। পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছি।’
বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল ও মিডিয়া মুখপাত্র) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘পাভেল শনিবার আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পাশাপাশি আমরা জড়িত বাকিদের নামও জানতে পেরেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখন প্রকাশ করছি না। দ্রুত তাদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
রাজশাহী বার্তা/admin