অস্ত্র কেনাবেচার ভিডিও ভাইরাল, আ.লীগ নেতার ছেলে ও ভাতিজা গ্রেপ্তার
অস্ত্র কেনাবেচার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর রাজশাহী মহানগরের এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ও তাঁর ভাতিজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া অস্ত্রের বিক্রেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি অত্যাধুনিক বিদেশি অটোমেটিক পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন, রাজশাহী মহানগরীর দাশপুকুর এলাকার মাহাতাব আলীর ছেলে সেলিম মুর্শেদ ওরফে শাফিন (৪০), তাঁর চাচাতো ভাই রানা হোসেন (৩২) ও জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বিজয়নগর গ্রামের রবিউল হোসেনের ছেলে পিটার হোসেন (২৮)।
সেলিমের বাবা মাহাতাব নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। গ্রেপ্তার হওয়া রানার বাবার নাম জামাল উদ্দিন। আওয়ামী লীগ নেতা মাহাতাব ও জামাল দুই ভাই। আর গ্রেপ্তার হওয়া পিটার অস্ত্র ব্যবসায়ী।
এর আগে সেলিমসহ দুজন অস্ত্র হাতে নিয়ে দেখছেন এ রকম একটি ভিডিও দুদিন ধরে রাজশাহীতে ভাইরাল হয়। এরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে অস্ত্র বিক্রেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। বোয়ালিয়া থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় নিলয় (২২) নামে আরেক যুবককে আসামি করা হয়েছে। তাঁর বাবার নাম শাহ্ আলম। বাড়ি দাশপুকুর এলাকায় এবং তিনি নিলয় পলাতক রয়েছেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মণ জানান, গত রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর বর্নালী মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ তিনজনকে আটক করা হয়। এ নিয়ে থানায় একটি মামলা করা হয়। পলাতক একজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর অন্য তিন আসামিকে সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব আলী দাবি করেন, তাঁর ছেলে ও ভাতিজাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। তাঁরা অস্ত্র ব্যবসা করেন না। ভিডিও প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মাহাতাব বলেন, এটা এক বছর আগের ভিডিও। তিনি জানান, ওই অস্ত্র আছে নিলয়ের কাছে। তাঁর ভাতিজা ও ছেলে তাঁকে এ কথা জানিয়েছেন।
রাজশাহী বার্তা/admin