পদ্মার তীরে রাতভর রাসেলস ভাইপারের ফোঁস ফোঁস, মৃত্যুর মিছিল বাড়ছেই

সময়: 11:30 pm - June 26, 2024 | | পঠিত হয়েছে: 39 বার

রাজশাহীতে রাসেলস ভাইপারের সাপের ছোবলে মৃত্যুর মিছিল বাড়ছেই। গত দেড় বছরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এখনো পদ্মার তীরসংলগ্ন এলাকায় রাতভর রাসেলস ভাইপার সাপের ফোঁস ফোঁস শব্দ শোনা যায়। সবার মধ্যেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। সাপ আতঙ্কে জেলায় ক্ষেতের ফসল তুলতে ভয়ে মাঠে নামছেন না চাষিরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ৩১ মে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মেরামতপুরে মাঠে চোয়ালে রাসেলস ভাইপার সাপের ছোবল খান হেফজুল আলী নামে এক কৃষক। সাপটিকে মেরে সঙ্গে নিয়ে দেড় ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তিনদিন আইসিইউতে থেকে এখন অনেকটাই সুস্থ হেফজুল। তবে শারীরিক দুর্বলতার পাশাপাশি এখনো চোয়ালে ব্যথা আছে তার।

গত ৭ মে চারঘাটে শাকিনুর রহমান সাব্বির নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মারা যান বিষধর ওই সাপের ছোবলে। একসময় বিলুপ্তপ্রায় চন্দ্রবোড়া জাতের ওই সাপটি রাজশাহীর পদ্মা নদীতে পাওয়া গেলেও এখন আশপাশের জেলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে চরম আতঙ্কিত চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সাপের ছেবলে ৩৬২ জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরমধ্যে ৪৩ জন মারা যান। এরমধ্যে রাসেল ভাইপার সাপের ছোবলে মারা গেছেন ১৮ জন। ২০২৪ সালে এ পর্যন্ত সাপের কামড় খেয়ে ৩১৫ জন রোগী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ জন মারা গেছেন। আর শুধু রাসেলস ভাইপারের ছোবলে মারা গেছেন পাঁচজন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভেনম রিসার্চ সেন্টারের সাপ গবেষক ও প্রশিক্ষক বোরহান বিশ্বাস রোমান বলেন, প্রাণঘাতীর তালিকায় রাসেলস ভাইপার সাপের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। তাই এই সাপ দেখা মাত্র না মেরে বন বিভাগ বা তাদের খবর দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইএমও ইনচার্জ শঙ্কর কুমার বিশ্বাস বলেন, পর্যাপ্ত পরিমাণ এন্টিভেনাম রাখা হয়েছে। রাসেলস ভাইপার সাপে কাটা রোগীদের ঝাড়ফুঁক বা ওঝার কাছে না নিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

বর্তমানে ২৮টি জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে এই সাপ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

রাজশাহী বার্তা/Rahim

এই বিভাগের আরও খবর