নারী ও পুরুষের বিবাহিত জীবনের তৃপ্তি-অতৃপ্তি
নারী পুরুষের যৌ’ন উত্তেজনার ধারা পৃথিবীব্যাপী একই রকম। অর্থাৎ পৃথিবীর যে কোনো দেশে নারী পুরুষ একই রকমভাবে উত্তেজিত হয় এবং মিলনে অংশগ্রহণ করে। পৃথিবীব্যাপী নারী পুরুষ উভয়ের যৌ’নতার উপর গবেষণা এবং আলোচনা হয় ব্যাপকভাবে।
আমেরিকান বিখ্যাত কিনসে ইনস্টিটিউট নারী পুরুষের যৌ’নতার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে। যৌ’নতা হলো নারী পুরুষের দৈহিক মি’লন, যা প্রাণিজগতের অন্যান্য প্রাণীর মতো নারী পুরুষের যৌ’নতা বাহ্যিকভাবে প্রকাশ্য নয়। বরং নারী পুরুষের যৌ’নমিলন এবং যৌ’নতা সংঘটিত হয় সুস্থ সুন্দর পরিবেশে।
পৃথিবীর আদি থেকে চলে আসা একটি সংস্কৃতি হলো যৌ’ন সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতি প্রতিটি পুরুষ এবং নারীর জীবনের খুব আদৃত একটি অংশ। নারীর সাথে পুরুষের মিলনের সময় নারী উত্তেজিত হয় এবং পাশপাশি পুরুষেরও উত্তেজনা আসে। পুরুষের স্পর্শের প্রথম থেকেই নারীর ভেতরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। নারীর শরীর কেপে উঠতে পারে যা খুব সামান্য সময় ধরে অনুভূত হয়। মিলনের সময় নারীর দেহ এবং পুরুষের দেহের প্রধান যে পরিবর্তন হয় তাহলো উভয়েরই শারীরিক চাপ বৃদ্ধি পায়, রক্তের চাপ বাড়ে, শ্বাস প্রশ্বাস দ্রুত হয় এবং উভয়েই চূড়ান্ত আনন্দের জন্যে অস্থির হয়ে উঠে ।
নারীর যৌ’ন জীবন পুরুষের চেয়ে অপেক্ষাকৃত লম্বা। নারীর যৌ’নতার সংস্কৃতিতে বোধ করি পুরুষের চেয়ে আলাদা। নারীর যৌ’ন আগ্রহ, ইচ্ছা যৌ’নতার চরম আনন্দ ইত্যাদি প্রতিটি পর্বে পুরুষের চেয়ে স্বতন্ত্র অবস্থার সৃষ্টি করে।
প্রথম যুগের মানুষের যৌ’নতার ছিল কেবল মাত্র ক্ষণিক আনন্দের একটি উৎস। পরবর্তী সময়ে যৌ’নতার ব্যবহারিক পরিবর্তন দেখা দেয়। এক সময়ে এক নারী একই সাথে একই পরিবারের সবার সাথে যৌ’নমিলনে রত হতে পারতো। এটি ছিল যৌ’নতার সংস্কৃতি। তখনকার সমসাময়িক যৌ’ন সংস্কৃতি ছিল এই রকম। যুগে যুগে যৌ’ন সংস্কৃতি পরিবর্তিত হয়েছে। আবার যৌ’নতার ব্যাপারে ধর্মীয় নানা মতবাদের প্রভাবে যৌ’নতার বিষয়টি একেক সমাজে একেকভাবে অনুশীলন করা হয়ে থাকে।
বর্তমান সময়ে এই নতুন যুগে যৌ’নতার ব্যাপারটি নানা দিক থেকে আধুনিক হয়ে উঠেছে বর্তমান সময়ে যৌ’নাসনের পাশাপাশি যৌ’ন ক্রীড়াতে নানা পরিবর্তন ছন্দ দেখা যায়। নারী, পুরুষের ক্ষেত্রে যৌ’নতার আবহ একেক না্রী পুরুষের ক্ষেত্রে একেক রকম। যখন কোনো প্রেমিকের সাথে যৌ’নমিলন বা ডেটিং করে তখন যৌ’নতার ব্যাপারটি যেভাবে হতে পারে ঠিক সেভাবে স্বামী-স্ত্রীর যৌ’নতার ব্যাপাটি সংঘটিত হয় না। একই নারী যখন বহু পুরুষের সাথে যৌ’নমিলন বা যৌ’ন সর্ম্পক স্থাপন করে, তখন ও আবার যৌ’নতার সংস্কৃতি ভিন্ন হয়।
বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নারী পুরুষের ক্ষেত্রে যৌ’নতার ব্যাপারটি সব সময় একই ধারায় এগিয়ে চলে না। যৌ’নমিলনের ব্যাপারে বা যৌ’নতার ব্যাপারে সব নারীরেই ইচ্ছা একই রকম হয় না। এটিও আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কোনো কোনো নারী অত্যাধিক যৌ’নকাতর। আবার কোনো কোনো পুরুষের যৌ’ন ইচ্ছা থাকে বেশি অর্থাৎ যৌ’নতার ব্যাপারে তাদের আগ্রহ এবং যৌ’ন মিলনের ইচ্ছা থাকে ব্যাপক।
আবার কোনো কোনো নারী-পুরুষ সুস্থ যৌ’নতার পপাতি এবং তারা প্রয়োজন মাফিক যৌ’নমিলন পছন্দ করে। আবার কিছু কিছু নারী-পুরুষ যৌ’নতাকে খুবই কম মাত্রায় পছন্দ করে। অনেকের এ ব্যাপারে ভীতিও থাকে। যৌ’নতার ব্যাপার বিশেষ করে নারী, পুরুষের যৌ’নতার ব্যাপারে উৎসাহ এবং আগ্রহ যদি না থাকে তবে চরম পুলক আসতে পারে না।
রাজশাহী বার্তা/admin