রাজশাহী রেল স্টেশনে টিকিট কিনতে যাত্রীদের ভিড়
রোববার থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চলাচলের কথা রয়েছে। আর টিকিট বিক্রি শনিবার বিকেল থেকে। ফলে ট্রেনের আগাম টিকিট কিনতে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় জমিয়েছেন যাত্রীরা। আজ শনিবার সকাল থেকেই তারা টিকিট কাউন্টারের সামনে অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে টিকিট বিক্রি শুরু হয়নি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল বিকাল থেকে টিকিট বিক্রি হতে পারে। কিন্তু সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয় সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হবে।
গত বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন রুটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। রোববার থেকেই ট্রেনগুলো চলার কথা। বৃহস্পতিবার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের তিনটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এগুলো হলো- চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকাগামী বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট থেকে ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেস এবং খুলনা থেকে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস। এসব ট্রেন আগের সময় অনুযায়ী গন্তব্যে যাবে এবং আবার নির্ধারিত স্থানে ফিরে আসবে।
রাজশাহী রেল স্টেশনের ম্যানেজার আবদুল করিম বলেন, শুধু বনলতা ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রির কথা ছিলো। কিন্তু মন্ত্রাণলয়ের নির্দেশ আসে দুপুর একটার দিকে। তার পরে টিকিট প্রত্যাশীদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়। সব ট্রেনের টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ বলেন, রোববার থেকে তিনটি ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত রয়েছে। শনিবার বিকেল থেকে আগাম টিকিট বিক্রি শুরুর কথা ছিল। তবে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু অনলাইনে টিকিট বিক্রি হবে।
তিনি বলেন, পশ্চিম রেলের আরও একটি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছেন। সেটি হলো- পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে চলাচলকারী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। স্বাস্থ্য বিধি মেনে অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করা হবে। তিনি বলেন, বনলতা ট্রেনে মোট সিট ৯২৮টি। তার ৫০ ভাগ ৪৬৪টি টিকেট অনলাইনে বিক্রি হবে। বন্ধ থাকবে অগ্রীম টিকেট বিক্রি বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে প্রায় দুই মাস আগে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। ঈদের আগে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন চালুর প্রস্তুতি শুরু হয়। যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে অংকন করা হয় বৃত্ত। এরপরই সীমিত পরিসরে ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। এখন চলছে টিকিট বিক্রির প্রস্তুতি।