রাজশাহী রেলস্টেশনে ‘ম্যাংগো স্পেশাল’ ট্রেনের উদ্বোধন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’ এর যাত্রা শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশেষ পার্সেল এই ট্রেনের যাত্রার উদ্বোধন করেন মেয়র।
উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, উৎপাদনকারীরা যাতে ভালো দাম পান এবং ঢাকাবাসী যাতে ভালো আম খেতে পারেন সেজন্যেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আম ছাড়াও সব ধরনের শাকসবজি, ফলমূল, ডিমসহ কৃষিজাত পণ্য ঢাকা স্বল্প খরচে নিয়ে যেতে পারবেন কৃষকেরা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও উৎসাহ প্রদান করে আসছে। এই ট্রেনের চাহিদা বজায় থাকলে আম মৌসুম ছাড়াও স্থায়ীভাবে চলাচল করার ব্যবস্থা করা হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোঃ হামিদুল হক, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ, সিওপিএম শহিদুল ইসলাম, সিসিএম আহসান উল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, রাজশাহী রেলওয়ে শ্রমিক লীগ আরবিআর সদর দপ্তর শাখার সভাপতি মোতাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, ওপেন লাইন শাখার সভাপতি জহুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক এম আক্তার হোসেন প্রমুখ।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সূত্র জানিয়েছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে যখন ঢাকা যাবে তখন ট্রেনটির নাম হবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-২’। আর ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফেরার পথে নাম হবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন-১’। ট্রেনটি সপ্তাহে প্রতিদিন চলাচল করবে। প্রতিদিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকেল ৪টায় ছেড়ে আসবে। রাজশাহী রেলস্টেশনে পৌঁছাবে ৫টা ২০ মিনিটে। এখানে ৩০ মিনিট বিরতি দেবে। পরে বিকেল ৫টা ৫০ মিনিট মিনিটে ট্রেনটি আবারও ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১টায়। ঢাকা থেকে ট্রেনটি রাত ২টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে আসবে। রাজশাহী পৌঁছাবে সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে। এখানে ২০ মিনিট থেমে ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
পৌঁছাবে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে। ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেনটিতে মোট ছয়টি ওয়াগন (মালগাড়ি) থাকবে। প্রতিটি ওয়াগনে ৪৫ হাজার কেজি আম পরিবহন করা যাবে। আম ছাড়াও সব ধরনের শাকসবজি, ফলমূল, ডিমসহ কৃষিজাত পণ্য রেলওয়ের আইনে পার্সেল হিসেবে বহনযোগ্য সব ধরনের মালামাল বহন করা হবে। ট্রেনটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এক কেজি আমের ভাড়া লাগবে এক টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী রেলস্টেশন থেকে এক কেজি আম ঢাকার বিমানবন্দর, তেজগাঁও বা কমলাপুর রেলস্টেশনে পরিবহন করতে খরচ পড়বে ১ টাকা ১৮ পয়সা। এছাড়া নিয়মানুযায়ী ট্রেন ছাড়ার আগে যে কেউ তাদের মালামাল বুকিং দিতে পারবেন।