রান্নার সময় হঠাৎ হাত পুড়লে!
রান্না করতে গিয়ে আমাদের প্রায়ই গরম তেলে বা চুলার আগুনে হাত পোড়ে। ছোটখাটো এসব পোড়ার চিকিৎসায় ঠান্ডা মাথায় ঘরেই করা যায়।
কীভাবে করবেন জেনে নিন:
১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা ১/২ টেবিল চামচ পানিসহ ব্লেন্ড করে নিন। পেস্টটি সরাসরি ক্ষত স্থানে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই তরিকা দিনে অন্তত ২-৩ বার অনুসরণ করা আবশ্যক।
মধু: প্রাকৃতিক এ অ্যান্টিবায়োটিকে পিএইচ রয়েছে, যা পুড়ে যাওয়া ক্ষতকে সংক্রমিত হতে দেয় না। এটি জ্বালাপোড়া কমায় ও এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্রুত ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
২ চা চামচ মধু নিন। আক্রান্ত স্থানে মেখে রাখুন। ফল পেতে দিনে ৩ বার প্রয়োগ করুন।
টুথপেস্ট: টুথপেস্ট এ মিন্ট থাকায় এটি পোড়া অংশের ব্যথা কমায় ও ক্ষত মসৃণ করতে সাহায্য করে।
মিন্টযুক্ত সাদা টুথপেস্ট নিন। ক্ষত স্থানটি ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে এর চারপাশে পেস্ট মাখুন। ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে দিনে তিনবার এটি করতে হবে।
দুধ: দুধে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ও প্রোটিন থাকে যা পোড়া ক্ষত শীতল ও নিরাময় করতে দ্রুত কাজ করে।
১/৪ কাপ ফ্রিজে রাখা ঠাণ্ডা দুধ তুলোর মধ্যে নিয়ে ক্ষত স্থানে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্যথা ও পোড়া অনুভূতি না কমা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা পরপর এটি করুন।
ভিনেগার: ভিনেগার একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। ভিনেগারে রয়েছে অ্যাসেটিক এসিড যা প্রদাহ কমাতে ও ব্যথা উপশমের জন্য সুপরিচিত। ছোটখাটো পুড়ে যাওয়া ক্ষত কমাতে ভিনেগার ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।
২ চা-চামচ ভিনেগার ও ২ চা-চামচ পানি একত্রে মেশান। মিশ্রণটি তুলোয় করে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে রাখুন। দিনে ২-৩ বার এটি করতে পারেন।
লবণ: লবণে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড। এর প্রাকৃতিক নিরাময় শক্তি ও অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল আছে যা ফোস্কা সারাতে ও দ্রুত পুড়ে যাওয়া সারিয়ে তুলতে কাজ করে।
কয়েক ফোঁটা পানির সঙ্গে ১ চা-চামচ লবণ মিশিয়ে পেস্ট বানান। আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। দিনে কয়েকবার এটি করতে পারেন।
রান্নার সময় পোশাক সামলে রাখবেন ও চুল আটকে নেবেন। সাবধানতার সঙ্গে কাজ করুন। এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো শুধুমাত্র অল্প পুড়লে, কিন্ত যদি ক্ষত যদি বেশি হয়, অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।