বাঘায় পুকুর খননে ৫০ হাজার বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা!

সময়: 12:54 pm - September 21, 2020 | | পঠিত হয়েছে: 175 বার

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এ জলাবদ্ধতার কারণে ৫০ হাজার বিঘা জমিতে আবাদ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থানে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এসব জমিতে কৃষকরা কোনো ফসল ফলাতে না পেরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, বাঘা উপজেলার বারখাদিয়া, নওটিকা, আরিফপুর, আমোদপুর, খুদে ছয়ঘটি, জোতরাঘব, চণ্ডিপুর, আটটিকা, অমরপুর, পাকুড়িয়া, মনিগ্রাম, বাউসা, আড়ানী, ঝিনা, বেড়েরবাড়ি, হরিপুর এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার বিঘা জমিতে পানি জমে আছে। এ এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে অসংখ্য পুকুর খনন করা হয়েছে। ফলে এ বিলে বিভিন্ন উৎপাদিত ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

গত ২-৩ বছর ধরে পুকুর খননের কারণে এলাকার কৃষকরা ফসল ফলাতে পারছেন না। যেসব জমিতে বিগত সময়ে এক বছরে তিন ধরনের ফসল উৎপাদন হতো। বর্তমানে কোনো মৌসুমে ফসল ফলাতে পারছেন না কৃষকরা। ফলে শত শত কৃষক মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

বাউসা গ্রামের রগন কুমার, বারখাদিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম, জোতরাঘব গ্রামের চঞ্চল মাহমুদ জানান, বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন বিলগুলোতে যেভাবে পানি জমে আছে, তা নদীর সঙ্গে ড্রেন করে অতিসত্বর পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা দরকার। আর তা না হলে যতটুকু আবাদী জমি রয়েছে, সেটুকু সারা বছর জলাবদ্ধতা হয়ে থাকবে।

বাঘা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, বিলের জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়ে সমন্বয়সভায় অবগত করা হয়েছে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে অবগত করা হয়েছে।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খননের কারণে জলাবদ্ধতায় ফসলি জমি নষ্ট হওয়ার খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শন করেছি। তবে এ সমস্যা নিরসন করা খুব কঠিন। প্রকল্পের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন করা সম্ভব। তবে এ বিষয়ে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ও কৃষি মন্ত্রণালয়কে অবগত করা হয়েছে।

রাজশাহী বার্তা/Durul Haque

এই বিভাগের আরও খবর