রামেকে শিক্ষককে মারধর, মুক্তি পেলেন মুচলেকায় টিপসই দিয়ে
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে লাঞ্ছিত হয়েছেন এক শিক্ষক। শুক্রবার দুপুরের এ ঘটনায় পরে মামুনুর রশীদ রিপন নামের ওই শিক্ষকের কাছ থেকে জোর করে মুচলেকা আদায় করেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।
এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর অবহেলায় রোগী মৃত্যুর জেরে মুক্তিযোদ্ধা ও তার ছেলেকে লাঞ্ছিত করেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। সেই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন মুক্তিযোদ্ধা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন। পরে ক্ষমা চেয়ে সেই যাত্রায় চিকিৎসকরা রক্ষা পান। ভুক্তভোগী মামুনুর রশীদ রিপন রাজশাহী নগরীর বঙ্গবন্ধু কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক। শারীরিক সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার রামেক হাসপাতালের চার নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন তিনি। আনসার সদস্যদের দিয়ে তাকে পেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভর্তির পর তিনি কোনো চিকিৎসা পাননি। একজন নার্সকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। এ কারণে শুক্রবার একজন চিকিৎসক ওয়ার্ডে গেলে তিনি তাকে জানান যে তারও একজন বন্ধু চিকিৎসক। আর এ কথা শুনেই ওই চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তিনি ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ডেকে আনেন। ইন্টার্নরা ডাকেন আনসার সদস্যদের। তারা ওই শিক্ষকের গায়ে হাত তোলেন।
শিক্ষক রিপন জানান, আমি একজন রোগী। সেখানে আমাকেই যদি মারধর করা হয় তাহলে এটা কোন হাসপাতাল? এসব দেখার কী কেউ নেই? তিনি জানান, মারধরের পর উল্টো তার কাছ থেকেই মুচলেকা নেয়া হয়েছে। মুচলেকার কাগজে লেখা ছিল, রিপন চিকিৎসকদের সঙ্গে অশ্লীল ও অসাদাচরণ করেছেন। স্বাক্ষর করতে না চাইলে জোর করে মুচলেকার কাগজে তার টিপসই নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা ভাবছেন বলেও জানান।
রাজশাহী বার্তা/admin