বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের’ অভিযোগে রাসিক কর্মকর্তা কারাগারে
লিয়াকত, হোসেন : রাজশাহী মহানগরীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রাসিক প্রকৌশল বিভাগের সিনিয়র সহকারী পদে কর্মরত তাজমুরাদ লিটনের বিরুদ্ধে।
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাজমুরাদ লিটনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।রোববার বেলা ১১টার দিকে ধর্ষক লিটনকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
একই সময় ধর্ষিতা যুবতীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের (ওসিসি) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাতে নগরীরর মতিহার থানায় ওই কলেজ শিক্ষার্থীর বড় বোন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্ত লিটন নগরীর বোয়ালিয়া থানাধিন তালাইমারী বাদুড়তলা এলাকার মোসারফের ছেলে। গতকাল রাতে বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত এক বছর পুর্বে ওই শিক্ষার্থী সিটি কর্পোরেশনে বিশেষ কাজের জন্য যায়। সেখানে লিটনের সাথে তার পরিচয় হয়। সেই থেকে লিটনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিটন একাধিকবার তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। সর্বশেষ গতকাল ৩ অক্টোবর ওই শিক্ষার্থীর বড় বোনের বাসায় বিয়ের কথাবার্তা বলার জন্য যায়। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর বোন আপ্যায়নের খাবার কিনতে দোকানে যায়। ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে লাগানো। ওই সময় তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ সময় তাঁকে বিয়ের কথা বললে লিটন সবাইকে বুঝিয়ে পরে বিয়ে করবে বলে ধর্ষিতার বোনকে জানান। পরে মতিহার থানা পুলিশে খবর দিলে এসআই সুকান্ত ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
ওই শিক্ষার্থীর বড় বোন জানান, গতকাল শনিবার দুপুর ৩ টার দিকে পশ্চিম বুধপাড়া এলাকায় লিটন তাদের বিয়ের কথাবার্তা বলার জন্য যান। এসময় তাদের রুমে বসিয়ে বড় বোন দোকানে চা পাতা নিয়ে আসার জন্য যান। এসে দেখেন তার রুম ভিতর থেকে লাগানো। পরে রুম খুলতেই ওই শিক্ষার্থী তার বোনকে বলেন, আপা আমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। এ সময় লিটনকে বিয়ের জন্য অনুরোধ করা হলে লিটন বিয়ে করতে অস্বিকার করেন। তবে পরে বিয়ে করবে বলে জানায়। পরে মতিহার থানা পুলিশে খবর দেয়া হলে পুলিশ আমার বোন ও লিটনকে থানায় নিয়ে আসে।
তবে অভিযুক্তের বাবা মো. মোসারফ বলেন, কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। মেয়েকে বিয়ে করার জন্য তার পরিবার পরিকল্পিতভাবে ঘটনা সাজিয়েছে।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্তের সামনেই মেয়ে জবানবন্দি দিয়েছে। তদন্ত করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এর ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা নং-৫, তাং-০৪-১০-২০২০।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের (ওসিসি) বিভাগের ডাক্তার বলেন,যুবতীকে ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়েছে। এর রিপোর্ট পেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাবে।
রাজশাহী বার্তা/admin