কক্সবাজারের আলোচিত সাবেক মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চায় না -এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন
কক্সবাজারের আলোচিত সাবেক মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চান না জেলাটির তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন। তিনি বর্তমানে রাজশাহীর এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
কয়েকদিন আগে রাজশাহীতে যোগ দেয়ার পর বুধবার সকালে জেলা পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। সেখানে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, কক্সবাজারে মেজর সিনহা হত্যা নিয়ে এসপি মাসুদ নিন্দা জানান কি না অথবা ঘটনাটি দুঃখজনক কি না।
জবাবে এসপি মাসুদ হোসেন বলেন, এটি একচুয়ালি কক্সবাজারের ঘটনা। নট এটা রাজশাহীর ঘটনা। আর এ বিষয়ে একটা মামলা তদন্তাধীন আছে। এমতাবস্থায় এটা নিয়ে আসলে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যেহেতু এটা তদন্তাধীন আছে, আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।
এরপর এসপি বলেন, আমার মনে হয় যে প্রশ্ন করার চাইতে আপনাদের সাজেশান আপনারা যেটা দেবেন, আমাদের কাজ করতে সুবিধা হয়, জনগণ উপকৃত হয়- এই বিষয়ে আপনারা তথ্য দেন আমরা বেশি উপকৃত হবো এবং মানুষ উপকৃত হবে। পরে এসপি নানা বিষয়ে তার বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, কক্সবাজারে মাদকের কারণে প্রচুর ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। রাজশাহীও একটি মাদকের জোন। এখানেও সেই ধরনের ক্রসফায়ারের মতো ঘটনা ঘটবে কি না। এ সময় এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন হিসাবে যে সকল মাদক আসে বছরে হিসাব প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮০ ভাগ, ৭ থেকে সাড়ে ৭ কোটি টাকার মাদক আসত কক্সবাজার হয়ে। এই যে চক্র আছে, যারা দেশে-বিদেশে অবস্থান করত, ব্যবসাটা নিয়ন্ত্রণ করত। আমরা চেষ্টা করেছি। আপনাদের এখানেও আছে। আমরা পেশাদারিত্বের সাথে চেষ্টা করব। আমাদের সকল কাজ হবে পেশাদারিত্বের সাথে, আইনের মাধ্যমে। আইনের মাধ্যমে যেটা করা দরকার আমরা সেটা করব।
তিনি বলেন, আমাদের যে কোন কাজ হবে পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম এবং অবশ্যই দক্ষতার সাথে। আমরা রাজশাহীর আট থানার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত এবং সন্ত্রাসমুক্ত রাজশাহী গড়তে চাই। সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন তার পরিচয় সন্ত্রাসী। কোন দল, কোন মত আমরা তা চিনি না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। আর মাদকের ব্যাপারে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি আছে। সেটার পরিবর্তন হয়নি। আমরাও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করব।
এসপি বলেন, রাজশাহীর একটা সমস্যা আছে। এতদিন দূর থেকে জেনে এসেছি যে, এখানে একসময় জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিল। সেটা যদিও এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে এদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। এরা যে কোন সময় আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। এখানে যে সর্বহারা নামে যে একটা গ্রুপ ছিল তাদেরও প্রভাব অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যে কোন সন্ত্রাসী ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা দলমত নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে একদম কঠোর।
মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, সুমন দে, ইফতেখায়ের আলমসহ রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী বার্তা/admin