পাবনায় চরমপন্থীকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনার আটঘরিয়ায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জের ধরে মকবুল হোসেন (৪৫) নামের এক চরমপন্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় ছুরিকাঘাতে আলম হোসেন (৪২) নামের অপর একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চান্দাই গোরস্থানের কাছে এ ঘটনা ঘটে। মকবুল হোসেন আটঘরিয়া উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের রইজউদ্দিন মাস্টারের ছেলে ও চরমপন্থী নকশাল সদস্য হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
মকবুলের সহযোগী আলম একই গ্রামের চাঁদ মোল্লার ছেলে। গত বছর পাবনায় চরমপন্থী হিসেবে সরকারের কাছে আত্মসমর্পন করেন তিনি। নিহতের চাচাতো ভাই আবদুল মতিন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় ধানুয়াঘাটা হাট থেকে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। সন্ধ্যার দিকে চাঁন্দাই গোরস্থানের কাছে পৌঁছলে একদল দুর্বৃত্ত তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মকবুল নিহত হন এবং গুরুতর আহত অবস্থায় আলমকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া থানার ওসি আশিফ মো. সিদ্দিক যুগান্তরকে বলেন, আধিপত্য নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। মকবুল এলাকায় চরমপন্থী নকশাল হিসেবে পরিচিত ছিলেন এবং তার সহযোগী আলমও একই দলের সদস্য। তিনি বলেন, আলম ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে চরমপন্থীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।
ওসি আরও বলেন, রোববার সকাল ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আটঘরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল মালেক বলেন, পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। এদিকে হত্যাকাণ্ডের পর নিহত মকবুলকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কর্মী উল্লেখ করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম রতন বলেন, মকবুল তার দলের কোনো সদস্য নন। তবে তাকে সব দলের লোকজনের সঙ্গেই মিশতে দেখেছি।
রাজশাহী বার্তা/admin