রাজশাহীতে সুদের টাকা আদায়ে বাড়ি লিখে নেয়ার চেষ্টা দাদন ব্যবসায়ীর
রাজশাহীতে এক দাদন ব্যবসায়ী ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পাওনা টাকার পরিবর্তে জালিয়াতি করে বসতবাড়ি লিখে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই দাদন ব্যবসায়ীর নাম শাহাজাহান আলী। তার বাড়ি পবা উপজেলার দামকুড়া থানার ভাবকি মধুপুর গ্রামে। তার খপ্পরে পড়ে এখন দিশেহারা পার্শবর্তি ভিমেরডাইং গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন।
শাহাজানের অবৈধ দাদন ব্যবসা ও জালিয়াতি বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যলয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জাকির হোসেন। একই সঙ্গে অভিযোগের কপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৫টি দপ্তরের দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে দাদনের টাকা আদায়ে হত্যার হুমকি দিয়ে জাকির হোসেনের কাছ থেকে দাদনের দলিল করার নাম করে বসতবাড়ি বিক্রির বায়নামায় সাক্ষর নিয়েছে শাহাজান আলী। সেখানে ২০ লাখ টাকা বসতবাড়ির দাম ধরে ১৮ লাখ টাকা গ্রহন করেছে বলে দেখানো হয়েছে। এর পর গত ২ ফেব্রুয়ারি বসতবাড়ি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার জন্য তিনি জাকির হোসেনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু জাকির হোসেন দুই দফায় সাত লাখ টাকা দাদন নেন।
একইভাবে শাহাজাহানের কাছ থেকে দাদন নিয়ে দিশেহারা ভিমেরডাইং গ্রামের বেলাল হোসেন, মাজেদুল ইসলাম ও বাবু নামের আরো তিনজন কৃষক। এদের মধ্যে বেলাল এক লাখ ও বাবু দুই লাখ টাকা দাদন নিয়েছিল। তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকার বিপরিতে মাসে ১৩ হাজার টাকা করে সুদ দিতে হয়।
জাকির হোসেন বলেন, দাদন ব্যবসায়ী শাজাহান ও তার সহযোগি সোহেলের খপ্পড়ে পড়ে ২০১৮ সালে জুলাই মাসে চার লাখ টাকা এবং গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন লাখ টাকা দাদন (কর্জ) গ্রহন করি। এ জন্য শাহজাহান তার কাছ থেকে উত্তরা ব্যাংকের দুইটি চেক চেক নেয়। পরবর্তিতে ছয় লাখ ২০ হাজার টাকা পরিষদ করা হয়। এখন তিনি দাবি করছেন তার কাছ থেকে জমি বিক্রির বায়নামা বাবদ ১৮ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে।
তবে দাদন ব্যবসার কথা অস্বীকার করে শাহাজাহান আলী বলেন, জাকিরের কাছে সুদের উপর কোন টাকা দেয়া হয়নি। জমি বিক্রির উপর টাকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন তিনি জমি রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছেন না। এ নিয়ে তিনি আদালতে মামলা করেছেন বলে জানান তিনি।
রাজশাহী বার্তা/admin