সিরাজগঞ্জে পুকুর খনন বাড়ছে, কমছে কৃষি জমি
নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করেই সিরাজগঞ্জের চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ উপজেলায় উর্বর তিন ফসলি কৃষি জমিতে খনন করা হচ্ছে একের পর এক পুকুর। অবাধে ফসলি জমিতে পুকুর খননের ফলে ক্রমাগত কৃষি জমি কমে যাওয়ার আশংকা করছে কৃষি বিভাগ। আর জেলা প্রশাসন বলছে, জমির মালিকদেরকে বারবার নোটিশ দিলেও থামছে না অবৈধ পুকুর খনন।
সিরাজগঞ্জের চলনবিল এলাকায় চলতি বোরো মৌসুমে এদিকে কৃষকেরা ব্যস্ত জমি পরিচর্যা আর ধানের চারা রোপণে। অন্যদিকে উর্বর তিন ফসলি কৃষি জমি কেটে তৈরি করা হচ্ছে বড় বড় পুকুর। ভূমি আইনের কোন তোয়াক্কা না করেই অধিক লাভের আশায় এই পুকুর খনন করছে এক শ্রেণির কৃষক। খননকৃত জমির মালিকের দাবি, ধানের চেয়ে পুকুরে মাছ চাষে অধিক লাভ হওয়ায় তারা পুকুর খনন করছেন। জেলার তাড়াশ, উল্লাপাড়া ও রায়গঞ্জ এলাকায় খনন যন্ত্র দিয়ে রাতদিন চলছে পুকুর খনন। অবাধে ফসলি জমিতে পুকুর খননের ফলে ক্রমাগতভাবে কমে যাচ্ছে কৃষি জমি।
পুকুর খনন বন্ধ ও কৃষি জমি রক্ষায় কৃষি বিভাগ, প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন বলে মনে করেন জেলার শীর্ষ কৃষি কর্মকর্তা।
সিরাজগঞ্জের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হাবিবুল হক বলেন, আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি তারা যাতে কৃষি জমিকে পুকুরে পরিণত না করেন।
আর জেলা প্রশাসন বলছে, অবাধে পুকুর খনন রোধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বলেন, সুনির্দিষ্ট একটা পত্র দেয়ার জন্য আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ে পত্র দিচ্ছি। আশা করছি ভূমি মন্ত্রণালয় একটা নির্দেশনা দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসের হিসাব মতে, উপজেলার ২৪টি ব্লকে পুকুর খননের সংখ্যা নিমগাছী প্রকল্পের আওতায় ৭৫০টি, ভূমি অফিসের আওতায় ৩৫০টি ও ব্যক্তি মালিকানায় প্রায় ২ হাজারটি।
রাজশাহী বার্তা/admin