চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার ৩নং আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের রসুলবিল গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা পারভীন বাদী হয়ে বুধবার ৩১ মার্চ বিভাগীয় পরিচালক মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর রাজশাহী, জেলা প্রশাসক নওগাঁ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ধামইরহাট ও উপজেলা প্রেসক্লাব বরাবর ৩নং আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র করেন।
অভিযোগকারী ফরিদা পারভীন জানান, চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান আমাকে শাসিয়ে বলেন আমাকে এক মাসের চাল দেবেন এবং পরের মাসে আমার নামের চাল অন্যকে দেবেন। অন্যথায় আমার নাম তালিকা থেকে বাদ দেবেন বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন। আমার নামে আসা ভিজিডির চাল আমাকে না দিয়ে অন্য কাউকে দিলে খাব কি। স্বামী নেই দুই সন্তানকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবু মুসা অক্ষেপ করে বলেন, অভিযোগকারী ফরিদা পারভীন আমার কাছে এসেছিলেন। তার অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত হবার জন্য মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার কাছে যাই। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা ভিজিডি কর্মসূচির জন্য উপকার ভোগী মহিলা নির্বাচনের তালিকার চূড়ান্ত ছক, ভিজিডি চক্র ২০২১-২২ চূড়ান্ত তালিকায় অভিযোগকারী ফরিদা পারভীনের নামসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বারের সঙ্গে মিল রয়েছে। একজন নবমুসলিম স্বামী হারা অসহায় মহিলার চাল কিভাবে আত্মসাৎ করে তা আমার বোধগম্য নয়।
অভিযোগপত্রে জানা গেছে, স্বামীহারা দুই সন্তানের জননী ফরিদা পারভীন ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের কাছে ভিজিডির চাল সংগ্রহের জন্য গেলে চেয়ারম্যান অনলাইনে একটি আবেদন করার পরামর্শ দেন। চেয়ারম্যানের কথা মত একটি আবেদনও করা হয়। তারপর কয়েকবার যাচাই বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকাই ফরিদা পারভীনের নাম অনুমোদন দেওয়া হয়। তিন মাস আগে ভিজিডির চাল বন্টনের সময় ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিন্টুর নিকট এসে তার নাম তালিকাই লিপিবদ্ধ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওই মেম্বার বলেন তোমার নাম তালিকাই নেই।
৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মোস্তাফিজুর রহমান পিন্টু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চেয়ারম্যান আমাকে যা বলেছে আমি তাই করেছি। তালিকায় তার নাম দেখেছি, কিন্তু তিনিই সেই ফরিদা কিনা তা আমি জানি না।
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান বলেন, ভিজিডির চাল বণ্টনের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে অন্য একজনের নাম যোগ হওয়ায় একটু সমস্যা হয়েছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, অভিযোগকারী ফরিদা পারভীন ভিজিডির তালিকাভুক্ত আছেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের সাথে কথা হয়েছে। তিনি ভিজিডির চাল ওই মহিলাকে দিতে সম্মতি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার গনপতি রায় বলেন, অভিযোগের কপি আমার হাতে এখনও পৌঁছেনি। অভিযোগ পেলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহী বার্তা/admin