রাজশাহীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় একই পরিবারের ৮ জন আহত

সময়: 9:32 pm - June 14, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 101 বার

রাজশাহীতে ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় একই পরিবারের আটজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চার নারীসহ ছয়জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুন) বিকালে জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার রিশিকুল ইউনিয়নের কালিদাসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত রুবিনা জানান, প্রতিবেশি লুৎফর রহমান মাস্টারের সঙ্গে তাঁদের জমি নিয়ে বিরোধ। লুৎফর রহমান সরকারি খাস জমিতে বসবাস করেন। তিনি তাঁদের তিন কাঠার মত বসতভিটা দখলে নেয়ার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে কয়েকদফা আমিন নিয়ে গিয়ে মাপজোক হয়েছে। এতে রুবিনা বেগমের পরিবারই জমি পেয়েছে। কয়দিন আগে সেই জমির গাছ কাটা হয়েছে। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন পাশের বাড়ির লুৎফর রহমান মাস্টার।

সোমবার (১৪ জুন) বিকালে লুৎফর রহমান মাস্টার রাজশাহী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী ভাড়া করে নিয়ে যান। ১০-১৫ জন সন্ত্রাসী মোটরসাইকেলে করে গ্রামে যায়। তাঁদের হাতে ছিল রড, লাঠিসোটা আর ধারালো সব অস্ত্র। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা তাঁদের বাড়িতে ঢুকে মারধর শুরু করে। বাড়ির নারীরা পুরুষদের বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও পেটানো হয়। কারও হাত ভেঙেছে, কারও ভেঙেছে পা। কারও মাথায় রক্তাক্ত জখম। নারী-পুরুষ সবাই আহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীরা মুহূর্তের মধ্যেই হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মশিউর রহমান জানান, আহত ছয়জনকে চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা বেশ গুরুতর আহত। এক্স-রে করা হবে। তারপর তাঁদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ভালভাবে বলা যাবে।

রিশিকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বিশারত হোসেন বলেন, সন্ত্রাসী ভাড়া করে গ্রামের একটি পরিবারের ওপর হামলার ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। তিনি বলেন, লুৎফর রহমান মাস্টার লোকটা ভাল নয়।

গোদাগাড়ী কাঁকনহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান স্বীকার করে বলেন, শহর থেকে সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে গেছে। তাই কাউকে আটক করা যায়নি। তবে ঘটনার পর গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

সন্ত্রাসী ভাড়া করে হামলা চালানোয় অভিযুক্ত লুৎফর রহমান গোদাগাড়ীর ভাগাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাঁর মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি লুৎফর রহমান নন বলে দাবি করেন। বলেন, এটি রং নম্বর। এরপর তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর