জয়পুরহাটে কামারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ, নেই কেনাবেচা

সময়: 5:39 pm - July 20, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 126 বার

প্রতিবছরই ঈদুল আজহার আগে কামারদের ব্যস্ততা বেড়ে যায় কয়েকগুন এবারে বাড়লেও তবে বাড়েনি বেচাকেনা। তাই তাদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা কাজ করছে।  করোনার প্রভাব পড়েছে এই শিল্পেও।

জয়পুরহাট জেলার পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় তিন শতাধিক কামার নিয়মিত লোহা লক্করের দা, বটি,ছোড়াসহ বিভিন্ন লৌহজাত সামগ্রী তৈরী করেন। প্রতি বছর এ সময় প্রচুর বেচাকেনা হলেও এবার এখন পর্যন্ত তার অর্ধেক বেচাকেনা শুরু হয়নি।

শনিবার জয়পুরহাট সদর উপজেলার দূর্গাদহ বাজরের  কামার হরেণ কর্মকার বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য আর আগের মতো নেই,  জিনিসপত্র যে তৈরি করবো তো কয়লার দাম বেশি, আগে ২০ টাকায় এক ডালি কয়লা কিনলেও এখন দাম বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে, তারপরে ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না। তাতে করে কাজ করবো কিভাবে, আগেকার মতো আর কামাই রোজগার নেই, তাতে করে কেমন করে সংসারটা চলবে।

কালাই উপজেলার পুনট বাজারের  কামার আনন্দ  কর্মকার বলেন, প্রতিবছর কোরবানীর ঈদকে ঘিরে চাকু ছুড়ি দা বটির বেশ চাহিদা থাকে। কিন্তু ঈদের সময় ঘনিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত তেমন বেচাকেনা নেই। করোনার কারণে এবার অনেক মানুষ হারিয়েছে কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য  এর প্রভাবে ক্রেতার সংখ্যা কমেছে।

দুর্গাদহ বাজারে লোহার তৈরি বিভিন্ন পণ্য বিক্রেতা রিতন্দন বলেন, এবার ব্যবসা খুব একটা জোরদার হবে না, যার কারণে যে লোনের টাকা দিয়ে দোকানে মাল তুলেছি সেই টাকা উঠানো নিয়ে সংশয়ে রয়েছি। উপকরণের দাম বাড়লেও আমরা পণ্যের দাম বাড়াইনি আমরা চামড়া ছিলা ও মাংস কাটার জন্য ছোট চাকু ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত, বটি ১৬০ টাকা থেকে ৫শ টাকা, বড় চাকু রয়েছে ৪ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি, যা গতবারের মতোই একই দামে বিক্রি করছি। তাদের আক্ষেপ সরকার সব শিল্পের প্রতি নজর দিলেও এ শিল্পের শ্রমিকদের কথা একবারও ভাবেনি।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর