চালককে হত্যা করে ভ্যান ছিনতাই, দুই মাস পর গ্রেফতার ৪

সময়: 7:07 pm - August 29, 2021 | | পঠিত হয়েছে: 147 বার

চালককে হত্যা করে ছিনতাই করা অটো ভ্যান বিক্রি করে একজন তিন হাজার এবং অন্যরা একহাজার টাকা করে ভাগ করে নেয়। এরপর থেকে তারা বাড়িতে অবস্থান করছিল। নিহত ভ্যান চালকের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্ত করতে গিয়ে দুই মাস পর শনাক্ত হয় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একজন। এরপর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় চার যুবক। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উদ্ধার করা হয় ছিনতাই করা অটো ভ্যানটি।

রোববার (২৯ আগস্ট)  বেলা ১২ টায় বগুড়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয় এ তথ্য।

পুলিশ সুপার আরও জানান, মরদেহ শনাক্তের পর জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের নামে আদমদীঘি থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে থানা পুলিশ নিহত শামিম আলমের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সন্ধান পান। এরপর ২৮ আগস্ট পুলিশের একটি দল প্রযুক্তিগত সহায়তায় আদমদীঘি থানার জিনুইর গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে রানাকে (২৫) মোবাইল ফোনসহ গ্রেফতার করেন। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছোট জিনুইর গ্রামে বাবলু শেখের ছেলে জনি (১৯) এবং কোমরপুর গ্রামের জাবাইদুলের ছেলে মিঠুকে (২২) করে। রাতেই পুলিশ তাদেরকে সাথে নিয়ে অভিযান চালায় পার্শ্ববর্তী আক্কেলপুর থানার ঢেকুঞ্চা গ্রামে। সেই গ্রামের মৃত ছামছুল সরদারের ছেলে শাহিনের (৩৫) বাড়ি থেকে অটো ভ্যান উদ্ধার হলে পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায় ঘটনার দিন ২৩ জুন বিকেলে রানা,জনি, মিঠুসহ ৬-৭ জন আদমদীঘি রেলস্টেশনে একত্রিত হয়ে অটোভ্যান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। সেই অনুযায়ী তারা নওগাঁ জেলার রানীনগর থানার বাগবাড়ি এলাকা থেকে শামিমের অটো ভ্যান ভাড়া করে আদমদীঘি থানার কড়ই বাজারে যাওয়ার কথা বলে। কড়ই বাজারে যাওয়ার পর তারা সেখান থেকে নশরতপুর বাজারে যেতে চায়। কিন্তু সন্ধ্যা পার হয়ে যাওয়ার কারণে ভ্যান চালক যেতে আপত্তি জানালে তাকে অনুরোধ করে। এতে ভ্যান চালক তাদেরকে নিয়ে নশরতপুর বাজারের দিকে রওনা হয়।

পথিমধ্যে ধনতলা- মাঠ পুকুরিয়া গ্রামের পাকা রাস্তায় পৌঁছিলে একজন প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ার কথা বলে ভ্যান থামাতে বলে। এসময় পিছন থেকে একজন গামছা দিয়ে ভ্যান চালকের গলায় ফাঁস দেয়। অন্যান্যরা হাত ও পা রশি দিয়ে বেঁধে রাস্তার পার্শ্বে  জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তারা ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ভ্যানটি শাহিনের কাছে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। ভ্যান বিক্রির ১০ হাজার টাকার মধ্যে মিঠু ৩ হাজার টাকা এবং অন্যান্যরা প্রত্যেকে ১ হাজার টাকা করে ভাগ করে নেয়।

রাজশাহী বার্তা/admin

এই বিভাগের আরও খবর