প্রবাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করলেন সেই বিচারক
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জজ আদালতের লিগ্যাল এইড শাখার সিনিয়র সহকারী জজ জাহিদুল ইসলাম জুয়েল তাঁর দুই শিশু ছেলেকে অস্ত্র চালানো শেখাচ্ছেন এমন একটি ভিডিও ৫ বছর আগে ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে নানা কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর মন্তব্য এবং পরিবারের সদস্যদের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন বাজে পোস্ট করেন এক যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। সেই প্রবাসীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন বিচারক। গতকাল বুধবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এর আগে গত সোমবার বিকেলে মামলাটি দায়ের করা হয়। অভিযুক্ত প্রবাসীর নাম নিয়াজ মাহমুদ ভিকু (৫৫)। তিনি নড়াইল জেলার মহিষখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
বিচারক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ২২ (২), ২৩ (২), ২৬ (১), ২৯ (১) ও ৩৫ (১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমার অনুমতি ছাড়াই আমার, আমার স্ত্রীর, ভাইয়ের স্ত্রী, ভাই-বোন ও সন্তানদের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করেন। এ ছাড়াও ফেসবুকে মানহানিকর তথ্য প্রচার করা হয়। এই অপরাধের দায়ে নিয়াজ মাহমুদ ভিকুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বিচারক আরও বলেন, গত পাঁচ মাস ধরে আমার বোনকে মেসেঞ্জারে বিরক্ত করছেন ভিকু। আমার বোন পলি রহমানকে নানা কু-প্রস্তাব দিলে তাতে রাজি না হওয়ায় আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোংরা, জঘন্য, কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর নানা পোস্ট করা হচ্ছে। এমনকি আমার স্ত্রী, বোন, ভাইয়ের বউয়ের ছবি ব্যবহার করে চলতি মাসের ২,৩, ৪ ও ৫ সেপ্টেম্বর জঘন্য পোস্ট করা হয়। নিজের দুটি আইডি ছাড়া আরও কয়েকটি ভুয়া আইডি থেকে এ ধরনের মানহানিকর পোস্ট করছেন ভিকু।
বিচারক হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমি যদি একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও এমন হয়রানির শিকার হই তাহলে জনসাধারণের অবস্থা আরও করুন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এর সুষ্ঠু বিচার পাব বলে আশা করছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের নোংরামি যাতে কেউ করতে না পারে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, গত কয়েক দিন আগে ২০১৬ সালের একটি ভিডিও ফেসবুকে নতুন করে ভাইরাল হয়। ভিডিওটিতে দেখা যায়, পিস্তল হাতে একটি শিশু ছেলে দাঁড়িয়ে আছে। পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন বিচারক বাবা। তিনি ছেলেকে শেখাচ্ছেন ট্রিগার চালানোর কৌশল। ছেলেও একের পর এক ছুড়ছেন গুলি। বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে চারপাশ।
রাজশাহী বার্তা/admin