গ্রামেও ডিজিটাল সেবা পৌঁছে গেছে : খাদ্যমন্ত্রী
ডিজিটাল বাংলাদেশের সেবা এখন গ্রাম-গঞ্জসহ দেশের সবখানে পৌঁছে গেছে। এই সুফল দেশের ১৭ কোটি মানুষ পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালের প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ঘোষণা করেছিলেন। তখন সবাই বলেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ কি? অনেকেই এটিকে হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল। তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেছিল। অথচ এখন তারাই এই প্রক্রিয়া ব্যবহার করে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। নাগরিক সেবা ডিজিটালাইজড হওয়ার ফলে জনগণ এর সুফল পাচ্ছে, সময়, শ্রম ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে সরকারের সর্বস্তরে ই-সার্ভিস চালু হওয়ায় দুর্নীতি কমেছে। এই পরিবর্তনের ইতিবাচক সুফল দেশের সব মানুষ ভোগ করতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে করোনাকালে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলেও অনলাইনভিত্তিক ক্লাস পরিচালনার ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সেশন জটের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে অ্যাপের মাধ্যমে সরাসরি মিলার এবং কৃষকদের নিকট থেকে ধান চাল ক্রয় কার্যক্রম সম্পাদন করছে। এতে কৃষক হয়রানি এবং দুর্নীতি কমে গেছে। এ সময় মন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল পদ্ধতিকে সঠিকভাবে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করার এবং অপব্যহার থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শিহাব রায়হান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।