চাঁপাইনবাবগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে কে কত ভোট পেলেন!
পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ৬জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন ৮ জন। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীর আড়ালে বিএনপি ও বিদ্রোহী আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা রয়েছেন। বুধবার (৫ জানুয়ারী) রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবুল কবিরসহ সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা এই ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সুন্দরপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান ৮ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইখতিয়ার উদ্দিন পেয়েছেন ৭ হাজার ৪২৩ ভোট।
নারায়ণপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজির হোসেন ৪ হাজার ৪৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আলমগীর কবির পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৩১ ভোট। এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ২৭৮ ভোট পেয়েছেন।
ইসলামপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জসিম উদ্দীন ৬ হাজার ৭৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আকতারুজ্জামান পেয়েছেন ৫ হাজার ২৪০ ভোট।
দেবীনগর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাফিজুর রহমান ৬ হাজার ৬০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আ.ক.ম. সাহেদুল আলম বিশ্বাস পেয়েছেন ৬ হাজার ১৩৮ ভোট।
আলাতুলী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ২ হাজার ৭২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এসরাইল হক পেয়েছেন ১ হাজার ৯৩১ ভোট। এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামরুল হাসান পেয়েছেন ১ হাজার ২৩৫ ভোট।
চরঅনুপনগর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী এস আব্দুল বাদী ২ হাজার ৭১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেরাজুল ইসলাম পেয়েছেন ২ হাজার ৬০২ ভোট।
রানীহাটি ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রহমত আলী ১০ হাজার ৪৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী চশমা প্রতীকের প্রার্থী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন ৭ হাজার ১২৭ ভোট। এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের জাকারিয়া পেয়েছেন ১ হাজার ৪৯৮ ভোট।
মহারাজপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নাহিদুল ইসলাম রাজন ৮ হাজার ২১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আনারস প্রতীকের প্রার্থী সালাম পেয়েছেন ২ হাজার ৯৭১ ভোট।
ঝিলিম ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলাম লুৎফুল হাসান ৮ হাজার ৪৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আনারস প্রতীকের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৮৯ ভোট।
গোবরাতলা ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল ইসলাম ৭ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী আনারস প্রতীকের প্রার্থী তাসেম আলী পেয়েছেন ৫ হাজার ৪১৩ ভোট। এই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আরাফুল ইসলাম আজিজি পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৬৭ ভোট।
বারঘরিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হারুন অর রশিদ ৪ হাজার ৭০৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী চশমা প্রতীকের প্রার্থী আসলাম উদ্দিন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৭২ ভোট।
বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হেনা আতাউল হক ৯ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী একরামুল হক পেয়েছেন ৭ হাজার ৪৬৮ ভোট। এই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের তরিকুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৭৭ ভোট।
এর আগে ১৪টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৪টি ইউনিয়নে ২লাখ ৬৭ হাজার ৪৩৫ জন ভোটার ১৩৪ টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
রাজশাহী বার্তা/admin