নওগাঁয় ইউএনও’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবিতে মানববন্ধন
নওগাঁর আত্রাইয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে আড়াই লাখ টাকার মাছ জব্দ করাসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছয়জনকে ভ্রাম্যমান আদালতে ১৫দিনের জেল দেয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনে ইউএনও’র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়।
বুধবার দুপুরে শহরের মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের পাশে বিশা গ্রামের সাধারন মানুষ ও ভুক্তভোগী জেলে পরিবার এ কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন জলাশয়ের মালিক তোফাজ্জল হোসেন খাঁন। এসময় বক্তব্য রাখেন এলাকাবাসী মনোরঞ্জন, জেলে থাকা ভুক্তভোগী আতাব আলীর স্ত্রী রজুফা, সাবিনা সহ অনেকে। বক্তারা দূর্নীতিবাজ ইউএনও’র বিরুদ্ধে তদন্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন এবং জেলেদের মুক্তির দাবী জানানো হয়।
জানা গেছে, আত্রাই উপজেলার বিশা ইউনিয়নের বিশা গ্রামে গত ১১ মার্চ রাতে বাজারে মাছ বিক্রি করতে জলাশয় থেকে মাছ ধরা হয়। ১২ মার্চ সকালে মাছ আহরণকারী জেলে, ম্যানেজারসহ ১২ জনকে আটক করে ছয়জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ১৫ দিনের জেল এবং অন্য ছয়জনকে ছেড়ে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছানাউল ইসলাম। ইউএনও জলাশয়ের কর্তৃত্ব নেওয়ার তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়াত ডা. রেবতী কান্ত সান্যালের ভাতিজা বীরেন্দ্রনাথ সান্যালের পক্ষে তোফাজ্জল হোসেন খান জেলা প্রশাসক, ইউএনওসহ চারজনকে বিবাদী করে ২০১৯ সালের ৪ জুলাই আদালতে মামলা করেছিলেন।
আদালত ওই বছরের ১৮ জুলাই উভয়পক্ষের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। এরই একপর্যায়ে গত ১১মার্চ রাতে তোফাজ্জল হোসেন ওই জলাশয় থেকে মাছ আহরণ করেন। পরদিন সকালে মাছ বাজারে বিক্রি করার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় ইউএনও তার লোকজন এবং পুলিশ নিয়ে মাছগুলো জব্দ দেখিয়ে বিক্রি করে দেন। এ ঘটনায় ছয়জনকে জেল দেওয়া হয়।
জলাশয়ের মালিক তোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, প্রয়াত ডা. রেবতী কান্ত স্যান্যাল ও তার ভাতিজা বীরেন্দ্রনাথ স্যান্যালের কাছ থেকে ক্রয়, লিজ এবং পাওয়ার অব অ্যাটর্নি মূলে ৮ একর ৫৯ শতক ওই জলাশয়ের আইনগত মালিক আমি। অথচ ইউএনও ওই জমি সরকারি কাজে ব্যবহার করার নামে আমাকে হয়রানি করে আসছেন। এমনকি বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।